ফরিদপুর গণসমাবেশ-ট্রলারে ছুটছেন নেতাকর্মীরা

জাহিদ হাসান,মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচর থেকে ফরিদপুরে গণসমাবেশে যোগ দিতে ট্রলারে করে রওনা হয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীরা। যানবাহন না পাওয়া, ধরপাকড় ও  হয়রানি এড়াতে নদী পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এসব ট্রলারে  উপজেলার দত্তপাড়া, পাচ্চর, সন্ন্যাসীর চর, বন্দরখোলা, পাচ্চর,কাঠালবাড়ি ও কুতুবপুর ইউনিয়নের প্রায় হাজারো নেতাকর্মী রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর)  দিবাগত রাত ২ টার দিকে  শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী মাদবরেরচর হাটের কাছ থেকে তিনটি ট্রলার ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

মাদবরেরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমারাত বেপারী মুঠোফোনে জানান, ফরিদপুরের গণসমাবেশে যোগ দিতে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর হাট সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদীর ঘাট থেকে তিনটি ট্রলারে আমরা রওনা হয়েছি। এসব ট্রলারে আমাদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী রয়েছে।

তিনি আরো জানান,  ট্রলারগুলো এখন ফরিদপুরের কাছাকাছি রয়েছে। এই দলে তিনিও রয়েছেন। মুঠোফোনে তিনি আরো বলেন বলেন, ‘শিবচর থেকে কোনো বাস, মাইক্রোবাস ভাড়া পাওয়া যায়নি। পরে আমরা আমাদের এলাকায় থেকে বড় দুইটি ট্রলার ভাড়া করি।গতকাল রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বাঁধা দিলে পরে আমরা ছোট তিনটি ট্রলার ভাড়া করে রওনা হয়েছি।নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফরিদপুর পৌঁছানোর আর কোনো পথ ছিল না। তাই নৌপথেই রওনা হয়েছি।

এদিকে  মাদবরেরচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল আহবায়ক রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে আরো একটি ট্রলারে ফরিদপুর যাচ্ছে। তিনি জানান, আমাদের ভাড়া করা বড় ট্রলার বাধা দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে আমরা ওই ট্রলার রেখে অন্য ট্রলার ভাড়া করি। বড় ট্রলারে রাখা আমাদের খাবার গুলোও আনতে পারিনি। বর্তমানে আমরা ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাটের কাছাকাছি আছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদবরের চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর হাওলাদার অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বিএনপির কোনো লোককে বাঁধা দেয়া হয়নি। আমি কয়েকদিন আগে চোখের অপারেশন করিয়েছি, এখন বাড়িতেই বিশ্রামে আছি। আমার জানামতে আমার কোনো নেতা কর্মীরাও বিএনপির সমাবেশে তাদের যেতে বাঁধা দেয়নি। তারা হয়তো হাইলাইট হওয়ার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করেছে।