নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি


মোঃ ইব্রাহীম, স্টাফ রিপোটার- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামকে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি রেজুলেশন ছাড়াই অন্য শিক্ষককে দায়িত্ব না দিয়েই আগামী ২৮ মে পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার কারণে চলছে শিক্ষকদের কর্ম বিরতি। ফলে ভেঙে পড়েছে প্রশাসনিক ও শিক্ষার পরিবেশ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পড়েছে বেকায়দায়। ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আনিকুল ইসলাম জানান, গত ১৯ মে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষার খাতা শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর শেষ তারিখ ২৬ মে পর্যন্ত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আগামী ২৮ মে পর্যন্ত ছুটিতে থাকায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বেকায়দায় পড়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলাম ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আনিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দিতে চাইলে তিনি দায়িত্ব নিতে চাননি। এ বিষয়ে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি দুরুল হোদা জানান, মানবিক কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। রেজুলেশন করে অন্য শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে ওই শিক্ষকের লিখিত ছুটির আবেদনটি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(অতিঃ দায়িত্ব) মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট পাঠানো হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষার খাতা বোর্ডে পাঠানো, দূর্ণীতি দমন কমিশন(দুদক)’র চলমান তদন্ত মেয়াদে তাঁকে ছুটি দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে এ বষিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেখবেন। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার জানান, দুদক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তদন্ত চলমান আছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ১৫ বছরের দূর্ণীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তাঁকে অপসরনের দাবিতে ইতিপূর্বে নাচোলের সুশিল সমাজ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং ওই স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীগণও মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এখন চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি। ২০ মে শিক্ষকদের কর্ম বিরতি পালনকালে ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য রবিউল ইসসাম ও প্রাক্তন ছাত্র বেনজির আহম্মেদ শিক্ষকদের কর্ম বিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নাচোলের ঐতিহ্যবাহি স্কুলটির প্রশাসনিক ও শিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ্যাডহক কমিটির সভাপতি দুদকের তদন্ত চলাকালে ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সদস্য সচিবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এড়িয়ে তাঁকে ছুটি দিয়ে তদন্ত কাজ ব্যহত করেছেন।
৭ বার ভিউ হয়েছে