
আওয়ামীলীগের ইতিহাস পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস-কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের ইতিহাস পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জুলাই ২৪ বিপ্লবের গণহত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে সুজানগর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে, বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে যখন তাদের নেতা শেখ মুজিবসহ ওই পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়, তখন তাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। তার লাশ দাফন করার লোক ছিল না। পরবর্তীতে আবার দেখলাম শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের মুখে তাদের নেতাকর্মীদের ফেলে লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে গেলেন। কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা মেজর জিয়াউর রহমান পালিয়ে যায়নি। আমাদের নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। চট্রগ্রাম থেকে তার মরদেহ আনার পর তার জানাজায় লক্ষ লক্ষ জনতা শরীক হয়েছিলেন। তিনি বলেন বিএনপি করতে হলে বুকের পাটা লাগে,অনেক চেষ্টা করেছেন, হত্যা, গুম করেছেন, পুলিশ বাহিনী,র্যাব দিয়ে নির্যাতন করে আমাদেরকে দমন করতে, কিন্তু আপনারা কি তা পেরেছেন , বরং বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও বর্তমানে এই সময়েও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আপনারা নির্যাতন করবেন আর আমরা তামেনে নেব, তা হবে না। তারপরও আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার যে নির্দেশনা দিয়েছেন,আমাদের সবাইকে সেই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তারা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তারা সফল হতে পারেননি। ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই কালরাত্রিতে জাতি যখন দিশাহারা তখনই নেতৃত্বশূন্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা। সুজানগর পৌর বিএনপির আহবায়ক কামাল হোসেন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম বাবু মন্ডলের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আনিসুল হক বাবু, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এবিএম তৌফিক হাসান আলহাজ ,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মোল্লা ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জসিম বিশ্বাস প্রমুখ। বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি সুজানগর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে সুজানগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।