সোমবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া শাহ আলম মেন্বার আতঙ্কে বাংলাবাজারের নেতাকর্মীরা

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া শাহ আলম মেন্বার আতঙ্কে বাংলাবাজারের নেতাকর্মীরা

৯১ Views

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার উপশহর বাংলাবাজারের এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম শাহ আলম মেন্বার ও তার ছেলে বাহার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে পল্লীবিদুৎ অফিসে চাদাবাজি, টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের বিএনপির নেতা বানিয়ে মামলা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারপিট, চাদা বাজি, টেন্ডার বাজি,খাম্বা কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অপকর্মে নিয়ে আলোচনায় আসেন এই শাহ আলম মেম্বার ও বাহার।
ভুক্তভুগী ও এলাকাবাসি অভিযোগ করেন,বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেতাদের সাথে লিয়াজোঁ করে বাবা-ছেলে গড়ে তোলেন অপরাধ সাম্রাজ্য ও নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীও। আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও এমপি তোফায়েল আহমেদের ২ ভাতিজা বাচ্চু ও ইফতিখারুল হাসান স্বপনের হয়ে বাংলাবাজার উপশহরের-দক্ষিন জয়নগর, উত্তর জয়নগর ও দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়ন এবং পল্লী বিদুৎ অফিসসহ বিভিন্ন চর নিয়ন্ত্রন করতেন তারা। বাচ্চু ও স্বপনের ক্যাডার ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা মাহাবুব, সুমন, পারভেজ, মিরাজ, নুরুদ্দীন বাহিনীকে দিয়ে ওই এলাকার বিএনপির নেতা কর্মীদের মারপিট, সাইকেল মটর ছিনতাই, ঘর বাড়ি ছাড়াসহ বিভিন্ন নির্যাতন হত তাদের ইশারায়। গত ইউপি নির্বাচনে দক্ষিন জয়নগর ও দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নে বাচ্চু ও স্বপনকে চেয়ারম্যানকে নির্বাচিত করতে তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র দখলে রেখে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। তারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তাদেরকে একটি করে সাইকেল মটর উপহার দেন যেটি তারা এখন ব্যবহার করেন। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর এখন তারা দক্ষিন জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও যুবদলের সাধারন সম্পাদক বনে যান। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষন, চাদা বাজি, দখলসহ নানা অপকর্মের কারনে বাংলাবাজারের ঘর-বাড়ি ছেড়ে ঢাকার যাত্রা বাড়িতে আশ্রয় নেয়া ফারজানা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে ২১৪ জনকে আসামী করে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে-সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী , এমপি, নেতা ও ক্যাডার নামে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭৭৫/২৪ (যাত্রাবাড়ি),তারিখ-১৫/১০/২৪ইং। ওই মামলায় দৌলতখান বাংলাবাজারের ছাত্র ও যুবলীগের নেতা, বাচ্চু ও স্বপন চেয়াম্যানের ক্যাডার-মাহাবুব, সুমন, পারভেজ, মিরাজ, নুরুদ্দীন – ১০৭, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫ ও ১৭৩ নং আসামী। টাকার বিনিময়ে তাদেরকে বিএনপির নেতা-কর্মী বানানোর জন্য শাহ আলম মেম্বার ও তার ছেলে বাহার মরিয়া হয়ে উঠেন। তাদেরকে প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে দৌলতখান থানার মাধ্যমে তাদেরকে আসামী থেকে বাদ দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে তদবিরের অভিযোগ উঠেছে। এখবর দৌলতখান ও বাংলাবাজার বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে আলোড়ন শৃস্টি হয়। বিএনপির অনেক নেতারা জানান, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রত্যায়ন পত্র দিতে এবং বিএনপিতে যোগদান করাতে শাহে আলম মেম্বার তাদেরকে নিয়ে ১২ জানুয়ারী রবিবার ঢাকায় হাফিজ ইব্রাহীমের শরিফ ম্যাশনে গিয়েছেন। যাদেকে বিএনপি বানাতে চায় তারা যে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী, নেতাদের সাথে তাদের অনেক ছবি ও ভিডিও প্রদর্শক করেন তারা।
নেতা-কর্মীরা-জেলা, উপজেলা বিএনপি এবং সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীমের হস্তক্ষেপ কামনা করে শাহ আলম মেম্বার ও বাহারের বিচার দাবী করেন।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক তালুকদার জানান, দক্ষিন জয়নগরের বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহে আলম ও তার ছেলে বাহার আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করেছেন সত্যি, এখন তারা বিএনপি ঘরে ফিরে এসেছেন, তাবে এখন যদি আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে বিএনপির কর্মী বানাতে চায় তা হবে আতœঘাতি, এর তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। দক্ষিন জয়নগরের বিএনপির সভাপতি ফরিদ মাষ্টার জানান, তখন বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহে আলম, তার ছেলে বাহারসহ অনেকে আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করেছে, এখন তারা আবার বিএনপিতে যোগ হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে বিএনপির কর্মী বলে তাদেরকে মামলা থেকে রক্ষা করবে এটা মানা যাবেনা। এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহে আলম মেম্বার জানান, এখন দৌলতখানের বাজারে কোন অঅওয়ামীলীগ নাই, আমি কোন অন্যায় করিনি এবং কোন আওয়ামীলীগের পক্ষে কোন আশ্রয়েক কাজ করিনা, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা।

Share This