আশ্রায়ন প্রকল্পের ৩ ঘর পটুয়াখালীতে ৬৩ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি। পটুয়াখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩ ব্যক্তি তাদের ঘর মাত্র ৬৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর কোনোভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। এটি আইনগত অপরাধ।
জানায়ায়, প্রায় ১যুগ আগে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বুড়াগৌরাঙ্গ-তেঁতুলিয়া নদী বেষ্টিত চর-বোরহান ইউনিয়নের দক্ষিন চর-বোরহান গ্রামের ভুমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের আওয়তায় ৭০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই প্রকল্পে আওয়তায় মনিক চৌকিদার, নুরু রাড়ি ও অহিদুল আকন নামের তিন ব্যক্তি ঘর পান। অভিযোগ রয়েছে নিজস্ব বাড়ি ও বসত ঘর থাকাসত্তে¡ও প্রতারনা করে ঘরগুলেঅ বরাদ্দ নেন তারা। তবে একদিনের জন্যও তারা ওই ঘরে বসবাস করেনি। সম্প্রতি তিনটি ঘর বিক্রি করে দেয়া হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, তিনটি ঘরের ভিটা পরে থাকলেও টিন, কাঠ, লোহার এ্যাঙ্গেলসহ সব মালামাল উধাও হয়ে গেছে।
এব্যাপরে মনির চৌকিদার বলেন, নতুন করে ঘর নির্মান করার জন্য পুরান মালামাল ২১হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। নুরু রাড়ী বলেন, আমার ঘরের মালামালও ২১হাজার টাকায় বিক্রি করে নতুন ঘর তুলেছি। অহিদুল আকনকে সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন ঘরের মালামাল ক্রেয়ের কথা শিকার করে বলেন, তারা ঘরের মালামাল গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজরের বিক্রির জন্য নিয়ে রওনা হলে আমি অনুরোধ করে কিনে রাখি।
এবিষয়ে চর-বোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যার নজির আহম্মেদ বলেন, ঘরের মালামাল বিক্রি হয়েছে কিনা জানিনা, তবে শুনেছি বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পরায় ওরা তিনটি ঘর ভেঙ্গেছে। তিনি আরো বলেন, ঘরের ভাংঙ্গাচুরা মালামাল বিক্রি করলেও করতে পারে।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাফিজা নাজ নীরা বলেন, সরকারী ঘর বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।