শুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বইটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি আগামী প্রজন্ম এই বই থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন—জেলা প্রশাসক

বইটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি আগামী প্রজন্ম এই বই থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন—জেলা প্রশাসক

৩৯ Views

ভোলা প্রতিনিধিঃ  ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাস বই এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা পৌরসভার হলরুমে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এ বইর মোড়ক উন্মোচন করেন। বইটির লেখক পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান ও আলহাজ্ব মোহাম্মদ শওকত হোসেন বক্তব্যে বইটি রচনার সময়ের নানা অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, বইটি রচনা করতে গিয়ে অনেক প্রতিক‚লতা অতিক্রম করতে হয়েছে। যা একজন গবেষক হিসেবে একনিষ্ঠ ধৈর্যের সাথে তাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। দেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান ও লেখক পুলিশ সুপারের বদলি জনিত কারণে সময় সল্পতা হওয়ায় তাদের চাপ নিতে হয়েছে। তারা বলেন, ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাস বই থেকে আগামী প্রজন্ম অনেক তথ্যবহুল ভোলার পুলিশি ইতিহাস জানতে পারবে। বইটিতে ১৮৬৫ সালে সাব ডিভিশন থেকে পুলিশি সেবা ২০২৪ সাল পযর্ন্ত তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান-২০২৪ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরে, পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান বলেন, ‘ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাস’ বই প্রকাশ করাটা কাকতালীয়, হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। ভোলা জেলা ইতিহাসের লেখক প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ শওকত হোসের বইটি পড়ে অনুপ্রেরণা হয়ে হঠাৎ করেই এই বইটি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বইটি প্রকাশের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে প্রবীণ সাংবাদিক শওকত হোসেনের। শেষে, পুলিশ সুপার জনবান্ধন পুলিশ গঠনে সকলের সহযোগিতার কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাস বইটি পড়ে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছি। বইটিতে পুলিশী সেবার পাশাপাশি জেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে এনেছেন। যা আগামী প্রজন্ম অনেক কিছু এই বই থেকে জানতে পারবেন। বই প্রকাশনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জের কাজ। পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান ও দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদকের চ্যালেঞ্জে অনুপ্রেরণা হয়ে ভোলা জেলা প্রশাসকের ইতিহাস লেখারও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় বইর লেখক জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাসের লেখক ও দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শওকত হোসেন, নৌবাহিনীর ভোলা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার রিফাতুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহŸায়ক ও সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল গফুর, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভীন আখতার, সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইসরাফিল, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-উর রশিদ, বিজেপির জেলা সভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, সেক্রটারী মোতাছিন বিল্লাহ, আলতাজে রহমান কলেজের অধ্যক্ষ জাহানজেব আলম টিটব, সিনিয়র এডভোকেট নাছির আহমেদ, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ভোলা সদর উপজেলার আমীর মাওলানা কামাল হোসেন, ভোলা সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, কবি মোজাম্মেল হক কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট নজরুল হক অনু, এটিএন বাংলা ও দৈনিক ইত্তেফাক জেলা প্রতিনিধি আহাদ চৌধুরী তুহিন, দুদকের পিপি এ্যাডভোকেট সাহাদাত শাহিন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি জুন্নু রায়হান, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি নেয়ামউল্লাহ, দৈনিক ভোলার বানী সম্পাদক মোঃ মাকসুদুর রহমান, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ বিল্লাল হোসেন, দৈনিক আজকের ভোলার সহযোগী সম্পাদক এম শাহরিয়ার ঝিলন, দৈনিক ভোলার বাণীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইমরান হোসেন, দৈনিক আজকের ভোলার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বেল্লাল নাফিজ, দৈনিক আজকের আলোকিত সকালের জেলা প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম শিবলু, হারুন শাহ, আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে তালহা তালুকদার বাঁধনের সঞ্চালনায় হাফেজ মাওলানা বনি আমিনের কোরআন তেলাওয়াতের পরে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যূত্থানে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্যে বলেন, ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাসের লেখক পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামানের কারণে ভোলা শান্তিপ্রিয় জেলা হিসেবে রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি জনবান্ধন পুলিশ সুপার হিসেবে উপাধি পেয়েছে। তার বদলি জনিত কারণে ভোলা থেকে গেলেও ভোলা জেলা পুলিশের ইতিহাস এই বইর মাধ্যমে অমর হয়ে থাকবে। পরে সবাই লেখকের সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা

Share This