শুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">নাটোরে ৯৫টি  লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের জমা পড়ল ৮৯ টি</span> <span class="entry-subtitle">জমা দেয়নি পলক শিমুল </span>

নাটোরে ৯৫টি  লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের জমা পড়ল ৮৯ টি জমা দেয়নি পলক শিমুল

১০ Views
নাটোর প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে নাটোরে বিভিন্ন ধরনের ৯৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সেসব অস্ত্র জমা নিকটস্থ থানায় দেওয়ার নির্দেশ দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাটোর জেলার সাতটি থানায় ৮৯টি অস্ত্র জমা হয়েছে। জমা দেওয়ার বাইরে আছে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিধি মোতাবেক এখন সেগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেগুলো উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, জমা না দেওয়া ৬ আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকেরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগ নেতা। এদের ভেতর নাটোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে লাইসেন্স করা ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র, সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ২ টি , সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের একটি ও ঠিকাদার আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্সকৃত ১ টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। এর ভেতর আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্স করা অপর একটি পিস্তল গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে  শহরের স্টেশন কারবালা মোড় থেকে ১১ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো.মারুফাত হুসাইন বলেন, গতকাল রাত ১২ টার আগে ৮৯ টি লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। এখন পর্যন্ত ৬ টি লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা পড়েনি। এর ভেতর জুনাইদ আহমেদ পলকের ২টি  ও শফিকুল ইসলাম শিমুলের ২টি সহ মোট ৬ টি অস্ত্র।
নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মাছুদুর রহমান বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য সভা করা হয়েছে। অভিযানে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, ও আনসার সদস্যরা থাকবেন। জেলার লাইসেন্স করা অধিকাংশ অস্ত্রই থানায় জমা পড়েছে। যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি সেগুলোর উদ্ধারে যৌথ বাহিনী মাঠে কাজ করবে।
Share This

COMMENTS