শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলা-৪ আসনের দুর্নীতির মহারাজা সাবেক এমপি জ্যাকব হাজার হাজার কোটি টাকা ও বাড়ি গাড়ির মালিক

ভোলা-৪ আসনের দুর্নীতির মহারাজা সাবেক এমপি জ্যাকব হাজার হাজার কোটি টাকা ও বাড়ি গাড়ির মালিক

৯৮ Views

মিজানুর রহমান-ভোলাঃ ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সাবেক সাংসদ ও পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাক কিশোর বয়স থেকে ছিলেন বখাটে, ছেচরা চোর ও সন্ত্রাসী, সবসময় সে তুতলিয়ে তুতলিয়ে কথা বলেন। তার বাবা চরফ্যাশন উপজেলা আওয়াশীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেননি, বাধ্য হয়ে তিনি ছেলে জ্যাবকে বাড়ি থেকে বেড় করে দিয়েছেন, তার পরেও নজরুল স্যারের নাম দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ক্রইম করতেন,শেষ বারে তাকে তেজ্য করা হয়। নজরুল স্যার মারা যাওয়ার পরে তিনি আবার বাড়িতে ফিরেন। বাবার সহায় সম্পতি চলে আসে তার হাতে,তার নামের উপরদিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জ্যাকবের পথচারনা। চরফ্যাশনের আওয়ামী রাজনীতিতে ফাকা মাঠ পেয়ে এমপি পদে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এমপি হওয়ার পরে তার বার্ষিক আয় ও স্থাবর-অস্থাবর অবৈদ সম্পদ, বাড়ি, গাড়ি বহু গুন বড়েছে বলে অভিযোগ করেন চরফ্যাশনও মনপুরার বাসিন্দারা। প্রথম সংসদ সদস্য হওয়ার সময় তিনি ৫ লাখ টাকা দেনা ছিল। তাঁর কোনো বন্ড, কোম্পানির শেয়ার ছিল না। সংসদ সদস্য হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৪ টাকার ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার হয়ে গেছে ১২ কোটি টাকা (মধুমতি ব্যাংক) বলে জানান তারা।
সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আকন জানান, ১২ বছরে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার অধিক অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছে। জ্যাকবের শিক্ষাগত যোগ্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছে সীমাহীন। রয়েছে নারী কেলেংকারী অভিযোগও। নারী নিয়ে আনন্দপূর্তি করতে চরফ্যাশন গড়ে তুলেছেন জ্যাকব রিসোট। এখানেই ঢাকা থেকে নামীদামী মেয়ে নিয়ে জ্যাকব পূর্তি করেন এমন অভিযোগ চরফ্যাশন এলাকার মানুসের মুখে মুখে। ৩-৪ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে এই রিসোটে।
তিনি জানান, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী হলফ নামায় উল্ল্যেখ করেছে এইচএসসি পাস। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফ নামায় উল্লেখ করেছেন তিনি এমএ পাস। অর্থাৎ বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থর সাথে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদও জালিয়াতি করেছেন। তিনি লিখেছেন বাংলাদেশ পিপলস ইউনিভার্সিটি থেকে সোসাল সাইন্স ইন পলিটিকাল সায়েন্স বিষয়ে এমএ পাশ করেছেন। যাহা এই জাতির শিক্ষার সাথে চরম প্রতারণা করা হয়েছে। ইউ এস বাংলার মালিকানাধীন দৈনিক আজকের পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি শিমুল চৌধুরী ২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের সংবাদ করতে গিয়ে তাকে ২০%-৩০% চাদার বিষয়ে প্রশ্ন করলে, ওই পত্রিকার মালিক জ্যাকবের বন্ধু বলে সাংবাদিককে প্রানে মারার হুমকি দেয় এবং ৩-৪ দিনের মাথায় ওই পত্রিকা থেকে তাকে বাদ দিয়ে দেন।
ভোলা জেলা শহরে মধুমতি ব্যাংকের কোন শাখা নাই, তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চরফ্যাশনে শাখা করেন। তিনি ও তার পরিবার দেশে বিদেশে অস্বাভাবিক টাকা লেনদেন করেছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ম্যানেজার রেজাউল। তার ভাই, ভাতিজা, ভাগ্নেরা দিনের বেলায় ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে হুন্ডি করে রাতের বেলায় ব্যাংকের ভোল্টে কোটি কোটি টাকা রাখতেন আর ভোল্টের চাবি থাকতো তাদের কাছে। সরকার দূর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করলে কয়েকদিনে জ্যাকব তার ক্যাশিয়ার চরফ্যাশন পৌরসভার সাবেক মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার মাধ্যমে ৫২৬ কোটি টাকা আবদুল আউয়াল মিন্টুর লাল তীরের বিভিন্ন একাউন্টে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা জানান, এমপি জ্যাকব চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার স্থাপনা বদক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ওয়ার্চ টাওয়ারটিও নিজের নামে করেছেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নিজের নামে পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে করেছেন। এমপিও ভুক্তির চরফ্যাশন ও মনপুরার ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সবকটি তার নামে, তার পিতা-মাতা ও স্ত্রীর নামে। জ্যাকব ছাড়া এই এলাকায় কারো নামে কোন স্থাপনা নেই। চরফ্যাশন এর মুসল্লিরা জানান, চরফ্যাশন এর সবচেয়ে বড় মসজিদ খাসমহল মসজিদ। এই মসজিদের মিনার উদ্বোধন করা হয় মক্কা নগরীর আমিরকে দিয়ে। পরবর্তীতে সেই মিনার এর নকশা পরিবর্তন করে জ্যাকব টাওয়ার নাম করন করেছেন, যাহা সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী কাজ।
দক্ষিণ আইচার একজন চাষী জানান, চরফ্যাশন ও মনপুরার চাষাদের কাছ থেকে প্রতি সিজনে কানি প্রতি ৩ হাজার টাকা করে চাদা নেন জ্যাকবের ক্যাশিয়ার বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ। আমাদের বাড়ী-ভিটা জোর করে দখল করে, এখানকার সাধারণ মানুষকে অসহায় ভেবে এমপি সাহেব প্রায় ১৫০ বিঘা জমি দখল করে তুলেছেন বিশাল খামার বাড়ী। সেখানে ওই অঞ্চলের অসহায় পরিবারের উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীদের নিয়ে যাওয়া হয় মনোরঞ্জনের জন্য। এই কাজে তাকে রসুলপুর এর মিন্টু চেয়ারম্যান নামের একজন সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। চরফ্যাশন সরকারি কলেজের সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে যাওয়া হয় খামার বাড়ীতে এমপি ও ঢাকা থেকে আগত এমপির মেহমানদের খুশি করার জন্য। এখানকার ভুয়া অধ্যক্ষ প্রভাষক কয়সর আহমেদ দুলাল ও বিউটি নামের একজন শিক্ষক এই কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। এমপি সাহেব মাঝে মধ্যেই হেলিকপ্টার যোগে তার নিজস্ব মেহমানদের নিয়ে খামার বাড়ী আসেন, বসান আসর। শুরু হয় গান বাজনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একজন অধ্যাপককে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আদেশ জারী করেন। কিন্তু এমপি অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে ভুয়া অফিসার ইনচার্জ দুলাল কে আবার কলেজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জ্যাকবের বিরুদ্ধে র্দূনীতি দমনে মামলা হলেও টাকার কাছে দুদক হেরে যান।
চরফ্যাশন বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, জেলা পরিষদ এর জায়গায় এমপি সাহেব প্রায় ৫০০ দোকান তৈরী করে প্রতি দোকান থেকে তার ক্যাশিয়ার মেয়র এর মাধ্যমে ৪০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নেন। ভোলার কয়েকজন সাংবাদিককে জ্যাকবের পক্ষে রাখার জন্য মার্কেটে কয়েকটি ঘর দেন। তা তাড়া অন্য মানুষের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই দোকান থেকেই এমপি নিয়েছেন ৩০ কোটি টাকা। জ্যাকব টাওয়ার এর নামে জেলা পরিষদ ও জলবায়ু ট্রাষ্ট এর ২২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জলবায়ুট্রাষ্ট এর টাকা ২০% করে নিয়ে তিনি ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন জলবায়ু মন্ত্রণালয় এক কর্মকর্তা। ৩০০০ কোটি টাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বøকের কাজ থেকে ২০% করে এমপি ৪০ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার। কাজের মান খারাপ হওয়ায় ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংরাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী থাকাকালিন চরফ্যাশন ও মনপুরা দুই উপজেলা থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা মধুমতি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন বলে জানান সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আকন। এসব টাকা জমি ও বনের গাছ বিক্রি করা।
জয়নাল আবেদিন আকন জানান, ঢাকার মিরপুর সেকশন ১২, রোড-২, বøক-বি, বাড়ী নম্বর ২৬, পিত্রালয় নামে এমপি সাহেব গড়ে তুলেছেন বিশাল আলিশান ১২ তলা বাড়ী। যেখানে রয়েছে ৪৮ টি ফ্ল্যাট। খরচ করেছেন ১০ কোটি টাকা। স্ত্রী নীলিমা জ্যাকব বসবাস করেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিশাল আলিশান ফ্ল্যাটে। যার মুল্য ৫ কোটি টাকা। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় রয়েছে ৩টি ফ্ল্যাট, যার মুল্য ৯ কোটি টাকা। ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে গাজীপুরে তৈরি করেছেন বাগানবাড়ী। সেখানে উঠতি নায়িকা, মডেলসহ রূপবতীদের রূপে মনোরঞ্জনের ব্যাবস্থা। বড় মাপের আমলা, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনিক ব্যাক্তিদের খুশি করার ব্যবস্থাও করেছেন।
এছাড়াও জ্যানিক ফিসারিজ নামে নরসিংদী শ্বশুরালয়ে ৪৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন বিশাল খামার। খরচ করেছেন ১০ কোটি টাকা। কানাডায় ছোট ভাই বাবুর কাছে ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেন। এই অপরাধে কানাডার আদালত বাবুকে ৬ মাসের জেল দেন। অস্ট্রেলিয়ায় তার মেজো ভাই সৌরভ এর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা পাচার করে গড়ে তুলেছেন বিশাল বাড়ী। মালয়েশিয়ায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে মার্কেট কিনেছেন। করেছেন সেকেন্ড হোম। ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে হয়েছেন মধুমতী ব্যাংক এর পরিচালক।
তার কথিত এপিএস শরীফ এর একাউন্টের মাধ্যমে গত ১২ বছরে এমপি জ্যাকব ১৫০০০ কোটি টাকা চরফ্যাশন থেকে ঢাকার বিভিন্ন একাউন্টে এনেছেন। চরফ্যাশন ও মনপুরায় তার রয়েছে ১৭ টি ইটের ভাটা। এমপি ঢালচর, চরকুকরি, চরপাতিলা, মজিব নগর চরে দখল করে নিয়েছেন ২০০০ একর জমি ও ১০০০ একর জমির মাছের ঘের। জমির মালিকেরা এমপির ভয়ে মুখ খুলেননি এতদিন।
সাবেক এমপি জ্যাকবের ভাস্যমতে তিনি ১২ বছরে চরফ্যাশন ও মনপুরায় ২৮০০০ কোটি টাকার কাজ করিয়েছেন, এই কাজ থেকে তিনি ২০% থেকে ৩০% করে ৬০০০ কোটি টাকা নিয়েছেন। স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান জানান, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, গর্ভকালিন ভাতা, মৎস্য ভাতা ও কাবিখার টাকা থেকে এমপি ৭০% টাকা নিয়ে যান ১২ বছর পর্যন্ত। যেই চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করবেন না, পরের বার তিনি আর চেয়ারম্যান হতে পারবেন না বলে হুমকি দেন।
চরফ্যাশন সদরের একজন চেয়ারম্যান জানান, এমপি জ্যাকব প্রতি চেয়ারম্যান এর মনোনয়ন দিতে নেন ৬৫ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা। এমপি জ্যাকব গত ১২ বছরে প্রায় ৮০ টি দেশে ভ্রমন করেছেন। ১২ বছরে হেলিকপ্টার যোগে চরফ্যাশন-মনপুরায় মেহমানসহ নিজের আশা যাওয়ায় খরচ করেছেন ২০০ কোটি টাকা।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের একজন পরীক্ষিত নেতা জানান, চরফ্যাশন ও মনপুরায় জ্যাকব কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে পদপদবী ধারী একশত জনের মতো আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সহসভাপতি শাহেদ আলী মিয়া, রতন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মনির উদ্দিন চাষী, অর্থ সম্পাদক ইউনুস আল মামুন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র মনির, ফোটন চেয়ারম্যানসহ অন্য দলের ২৭ জন।
স্থানীয় একাধিক আওয়ামীলীগের নেতা জানান, জ্যাকব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বকশি এন্টারপ্রাইজ, ইউনুস আল মামুন লিমিটেড, মিলন এন্টারপ্রাইজসহ আরো কয়েকটি ফার্ম নামে নামাত্র কাজ করে কেয়েক হাজার কোটি টাকার বিল নিয়েছেন এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, গনপূর্ত, পানিউন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে। আবার যে সকল কাজের ফান্ড নেই সে সকল কাজ নেতাকর্মীদের দিয়ে ২০% থেকে ৩০% টাকা নিয়ে তাদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন। চরফ্যাশন আদালত, উপজেলা পরিষদ, কৃষি, মৎস্য, প্রানী সম্পদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, যুব উন্নয়ন, সমাজ সেবা থেকে ১২ বছরে কয়েক কোটি টাকা চাদা নিয়েছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেলে জ্যাকবও গাঁ ঢাকা দেন। কেউ বলেন সে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় আতœগোপন করে আছেন আবার কেউ বলছেন তিনিও ভারতে চলে গেছেন। সেখান থেকে অন্য রাষ্ট্রে চলে যাবেন। যেই এমপি ২০০৮ সালে নির্বাচনের হলফ নামায় ৫ লক্ষ টাকা দেনা দেখালো, সে কিভাবে ১২ বছরে এতো অর্থ সম্পদ এর মালিক হলেন। চরফ্যাশন ও মনপুরার জনগণ এই দূর্নীতিবাজ মহারাজা হাজার হাজার কোটি টাকা,সম্পদ,জমি,বাড়ি গাড়ির মালিক হলেন ? যে টাকায় কয়েক বছর বাংলাদেশ চলবে। সাবেক এমপির সকল অর্থ সম্পদ উপার্জনের উৎস কি, বর্তমান তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে খুজে বের করে জনগনের এসব টাকা ও সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাঘারে জমা করার দাবী জানান চরফ্যাশন ও মনপুরার জনগন।

Share This