
পটুয়াখালীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪

৫ Views
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী দশমিনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছে। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরর্ঘূণী গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরর্ঘূণী গ্রামের সহিদ ফকিরের ছেলে মোঃ শামীম ফকির (৩৫), মোঃ শাহিন ফকির (৩০) ও মোসাঃ মানসুরা বেগম(২৫)। আপরদিকে একই গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে ও রনগোপালদী ইউইনয়ন যুবদলের নেতা আশিক(৩০) ।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায় উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের নেতা মোঃ আশিক এর বোন জামাই মোঃইলিয়াস স্পিডে মটর বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখোন শামীম ফকির ডাক দিয়ে বলে আস্তে গাড়ি চালান যায়না এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এই ঘটনা আশিককে বলেলে দলবল নিয়ে মোঃ শামীম ফকিরের ঘরে ডুকে অতর্কিত হামলা চালায় সেখানে উভয় পক্ষ গুরুতর জখম হয়। আহতের দশমিনা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্য রত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মোঃ শামীম ফকির, মোসাঃ মানসুরা ও মোঃ আশীক গুরুতর অসুস্থ্য হওয়ায় বরিশাল শে-রে-ই বাংলা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন এবং বাকীদের দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্য রত চিকিৎসক ডাঃ মাইনুল ইসলাম জানান, চিকিৎসা নিতে আসা তিন জন গুরুতর অসুস্থ তার মধ্যে একজন তিন মাসের অন্তঃসত্ত¡া নারী আছেন আদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। অন্যদে চিকিৎসা চলছে।
আহত মোঃ আশিক বলেন শামীম ফকিকে আমি ফোনে বলি আমার বোন জামাইকে কেন অপমান করলি। তখোন সমজতার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘরের দড়জা আটকিয়ে কোপিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে এবং বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
আহত মোঃ শামীম খান বলেন, মোঃ আশেিকর বোন জামাই স্প্রিডে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল আমি বলছি আস্তে গাড়ি চালান দূর্ঘটনা ঘটলে কেমন হবে । এ কথা বলায় আমাকে অকথ্য বাসায় গালমন্দ করে। আমি বাড়ি চলে যাই । বাড়ি গিয়ে বাত খেতে বসি তখোন অশিক সহ ১০-১২ জন আমার ঘরের দড়জা ভেঙ্গে চুর করে আমাকে আমার ভাই শাহিনকে কোপায় এবং আমার ছোট বোনকে পিটায়। আমি এর বিচার চাই।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) মোঃ আবদুল আলীম জানান, ঘটনার বিষয় জেনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।