সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যশোরে বিদ্যালয় মাঠে বালি রাখতে নিষেধ করায় শিক্ষিকাসহ ৩ জনকে হাতুড়িপেটা

যশোরে বিদ্যালয় মাঠে বালি রাখতে নিষেধ করায় শিক্ষিকাসহ ৩ জনকে হাতুড়িপেটা

৩২ Views

ইয়ানূর রহমান :  যশোরের পল্লীতে বিদ্যালয় মাঠে বালি রাখতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক সহকারী শিক্ষিকাকে হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মৌসুমী সুলতানা নামে ঐ শিক্ষিকার স্বামী ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও ভাসুর হাফিজুর রহমানকেও হাতুড়িপেটায় মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্বরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল চলাকালীন এ হামলার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করে। পরে স্থানীয়রা আহত শিক্ষিকাসহ তিনজনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মনিরামপুর উপজেলার রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল নয়টার দিকে স্থানীয় ট্রলিচালক হারুন অর রশিদ ও তার লোকজন এক ট্রাক বালি এনে স্কুলের প্রধান ফটকসহ ভেতরে স্তুপ করে রাখেন। ফলে স্কুলে যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বালি সরিয়ে নেওয়ার জন্যে বলেন। এক
পর্যায়ে হারুন ও তার লোকজন বালি সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০ টা গড়িয়ে গেলেও বালি সরিয়ে না নিলে এ নিয়ে সহকারী শিক্ষক মৌসুমী সুলতানার সাথে হারুনের কথাকাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে মৌসুমী সুলতানার স্বামী স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম স্কুলে এসে বালি সরানোর জন্যে বলেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন অর রশিদ, আবদুর রহমান ও হারুন- এ তিনজন মিলে ইউপি সদস্য রবিউলের ওপর হামলা চালান। এক পর্যায়ে ট্রলির বাক্স থেকে হাতুড়ি নিয়ে ইউপি সদস্য রবিউলকে হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেন। এ সময় মৌসুমী সুলতানা স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও হাতুড়িপেটা করে
মাথা ফাটিয়ে দেয় এ দুর্বৃত্বরা।

সহকারী শিক্ষক আবদুল লতিফ জানান, স্কুল চালাকালীন এ হামলার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্বরা পালিয়ে যায়।
অপরদিকে সকাল ১১ টারদিকে মাঠে যাচ্ছিলেন রবিউলের ভাই কৃষক হাফিজুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, হারুন ও তার লোকজন এ সময় হাফিজুরের ওপর হামলা চালিয়ে হাতুড়িপেটা করে তারও মাথা ফাটিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফজাল উর রহমান স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে সন্ত্রাসীদের নামে মামলা করার নির্দেশ দেন।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন তিন জনের নামে মামলা করেছেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি।#

Share This