
শার্শার বোয়ালিয়া গ্রামের ভূমিদোষ্যুরা জাল জালিয়াতি দলিলে মাধ্যমে জমি জবর দখলের চেষ্টা

শার্শা (যশোর) সংবাদতাদা \ যশোরের শার্শা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ভূমিদোষ্যুরা রোহিত আলীর পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ২৪ বিঘা জমি ভূয়া এবং জাল জালিয়াতি দলিলে মাধ্যমে জবর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বৃদ্ধ রোহিত আলী ব্যোরো আবাদ করার সময় ঐ সকল জবর দখলকারীরা হুমকি ধামকি দেওয়ার কারনে ব্যোর চাষ করতে পারেনি। বৃদ্ধ রোহিত রহিত আলী গ্রামের শান্তি প্রিয় মানুষ হওয়ায় ভূমি দোষ্যুদের সাথে বাক বিতন্ডায় না জড়িয়ে সুবিচার ও জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। মৃত করিম বক্স মোড়লের পুত্র রোহিত আলী অভিযোগে উলেখ্য করেছেন একই গ্রামের ভূমি দোষ্যু মৃত হাসেম সদ্দ্যারের পুত্র আলাউদ্দীন, মৃত বংষ্কার আলীর পুত্র গোলাম হোসেন, মৃত রমজান আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম, মৃত আকবর আলীর পুত্র জামাল হোসেন ও মৃত মাওলা বক্সের পুত্র আহম্মদ আলী আমার পিতা করিম বক্স মোড়ল মৃত্যুর পর ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে ৩৯নং বিজয় রামপুর মৌজায় ২৬নং খতিয়ান, ৪২নং বোয়ালিয়া মৌজার ১৩১৭ খতিয়ান, ৪৭নং নারায়নপুর মৌজার ৬০১ খতিয়ান এবং ৪৯নং পোড়াবাড়ী নারাণপুর মৌজার ৮৮৫নং খতিয়ানের মোট ২৪ বিঘা জমি জালজালিয়াতির মাধ্যমে কোবলা দলিল করে জালজালিয়াতি মাধ্যমে দলিল রেজিষ্ট্রি করে নেয়। ঐ সকল দলিলে পাওয়ার দেখিয়ে ৫ই আগষ্টের পর হুমকি ধামকি দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ব্যোর ধান চাষ করা থেকে বিরত করে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। রোহিত আলী ঘটনার বিবরনে উলে্যখ করেন উলে্যখিত ভূমি দোষ্যূরা এতটাই ভংঙ্কর যে তারা বিভিন্ন জনকে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে দলে ভারি করছে যা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তাছাড়া আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সমুদয় সম্পত্তি আদালতের নির্দ্দেশ মোতাবেক প্রতিটি খতিয়ানের দাগ অনুযায়ী চলতি সন পর্যন্ত দাখিলা ও হাল পর্চা গ্রহন করি। তার পরও আমার জমিতে আমি যেতে পারছিনা। এ ব্যাপারে ঘটনারটি স্বরেজমিনে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসি ইয়াকুব আলী, আব্দুল আজিজ, মহিদুল ইসলাম, ফয়সাল হোসেন ও ইয়ানুর রহমান এক স্বাক্ষাতকারে জানান বিরোধিয় জমি রোহিত আলীর একথা সঠিক। বিষয়টি নিষ্পত্তি¡ করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ কয়েক দফায় শালিশ মিমাংসা করেছে কিন্তু প্রতিপক্ষরা সালিস মিমাংসা মেনে নেয়নি। তবে জারা জালজালিয়াতি করেছে এবং তাদের দাবি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অযৌক্তিক। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক স্বাক্ষরতকারে জানান বিষয়টি অভিযোগ পেয়েছি, যা তদন্তের জন্য তহশিল অফিসে পাঠানো হয়েছে।