বৃহস্পতিবার, ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যশোরের পল্লীতে চেয়ারম্যানের অফিসে তালা দেয়াকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-২২

যশোরের পল্লীতে চেয়ারম্যানের অফিসে তালা দেয়াকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-২২

৯২ Views

ইয়ানূর রহমান : যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত’র অফিস কক্ষে স্থানীয় জনতার তালা দেওয়ার  ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের ভেতর সংঘর্ষ ঘটেছে। বুধবার সকালে পজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের অফিসে তালা দেওয়ার পরে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়ে বিভিন্ন  হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পযন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে  উত্তেজনা বিরাজমান ছিল।

বুধবারে সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানাযায়, গত ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গত আগষ্টের পরে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কাজী পরিবার ছিলো সম্পূর্ণ  নিরাপদ।  কাজী পরিবারের প্রধান সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বড়ো পুত্র কাজী  মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান, কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না সাবেক উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও কাজী আজহারুল
ইসলাম মানিক ছিলো উপজেলা ছাত্র লীগের আহবায়ক। এই কারণে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন  পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত সেই থেকে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। গতকাল বুধবার সকালে সাগরদাঁড়ি
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেনের পক্ষে একটি গ্রুপ ইউনিয়ন পরিষদে য়ে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ জনতা ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির অপর একটি নারী-পুরুষের গ্রুপ ইউনিয়ন
পরিষদের সামনে উপস্থিত হয়ে তালা খুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এ সময় তালা  খুলতে বাঁধা দিতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষের অন্তত ২ জন আহত হন। আহতদের ভেতর ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্সে আহতরা হলো, আকাশ হোসেন, ইউনুস হোসেন, রকি হোসেন. সাগর হোসেন, রনি আহম্মেদ, নাইম হোসেন, কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না, গোলাম মোস্তফা। এছাড়া আহতদের অনেকেই নিরাপত্তা জনিত কারণে পালিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This