সিরাজগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের নৌকার দ্বার টেনে নদী পারাপার
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছর অতিবাহিত হলেও একটি সেতুর অভাবে ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাট-বাজার, স্কুল কলেজে যাতায়াতসহ অন্যন্যা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নদীর দুই পাড়ের জনসাধারণ।
সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা ও ধানগড়া ইউনিয়নের ওপর প্রবাহমান ফুলজোড় নদী । আর নদীপথ দিয়ে উক্ত দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। নদীর পশ্চিম পাড়ে ঘুড়কা, রয়হাটি দিয়ারপাড়া, নাঙ্গলমোড়া, চকগোবিন্দপুর, দত্তকুশা গ্রাম। আর নদীর পূর্বপাড়ে বেগমপুর, দরবস্ত্র, জয়ানপুর, আটঘরিয়া, তেলিজানা, বাশুড়িয়া, বিলচন্ডী, নলছিয়া ও রায়গঞ্জ সদর গ্রামসহ বেশকিছু গ্রামের মানুষ এই পথ দিয়েই চলাচল করে থাকে। ঘুড়কা বাজার এলাকার পথচারী গৌতম কুন্ডু, লিটন, শাহাদতসহ অনেকেই জানান, এই নদীর ওপর একটি সেতু হলে আমাদের চলাচলের সুবিধা হবে। এতে করে রায়গঞ্জ সদরে অবস্থিত হাসাপাতাল, থানা, ইউনিয়ন পরিষদের সেবা, হাটবাজারে যাতায়াতসহ অন্যন্যা সুযোগ সুবিধা পাবো আমরা। ধানগড়া ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের বাসিন্দা লেবু,শাজাহান আলী, আব্দুর রশিদ জানান, অনেক বছর আগে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও এই ফুলজোড় নদীর এই স্থানে কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। দেশে এক সরকার আসে আরেক সরকার চলে যায়। তারপরও এই স্থানে সেতু নির্মাণ হয় না। এই সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নৌকার দ্বার টেনে নদী পার হতে হয়। এতে আমাদের চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। উক্ত স্থানের নৌকার মাঝি আব্দুর রশিদ জানান, এপার ওপারের যাওয়া আসার জন্য নৌকা ভাড়া জন প্রতি ৫ টাকা করে নিয়ে থাকি। আমার দিনে কোন সম্যসা হয় না হলেও রাতে কষ্ট করতে হয় জনসাধারণের পারাপারের জন্য। অপরদিকে ঝড় বৃষ্টিতে কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তারপরও নৌকা নিয়ে বসে থাকতে হয় পথচারীদের জন্য। রায়গঞ্জ তেলিজানা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক রানা জানান, ঘুড়কা ও ধানগড়া ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী-স্থানে ফুলজোড় নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ হলে দুই অঞ্চলের জন-সাধারণের চলাচল সহজ হবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যন্যা নাগরিক সুযোগ সুবিধা পাবে নদী পাড়ের জনসাধারণ। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন সব এই অঞ্চলের অনেক মানুষ। সেই সাথে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতির চাকা।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। ইতিমধ্যে ওই স্থানটি একটি প্রতিষ্ঠান সার্ভে করে গিয়েছে। তারা প্রয়োজনবোধ মনে করলে প্রতিবেদন দিলে হয়তো বাকি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।