মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ায় মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবু সাঈদ (৩৩) নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যা।।

বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ায় মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবু সাঈদ (৩৩) নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যা।।

৩২ Views

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

সত্যিই থানাসহ সাতটা পুলিশ ফাঁড়ির শহরটা থেকে যেন আন্ধার কাটছে না!

বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ায় মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবু সাঈদ (৩৩) নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি ওই এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। সাঈদ হত্যাকান্ডে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তার বাবা ইউসুফ আলী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আবু সাঈদ ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি অটো ভ্যান ও রিক্সার গ্যারেজের ব্যবসা করতেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি বালুর ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের ভাই রিপন জানান, গত শুক্রবার রাত ১২ টায় কে বা কারা তাকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে বের করে। ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসি তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাঈদের বাবা ইউসুফ আলী জানান, তাদের সারে ৫ শতক জায়গা নিয়ে একটি মামলা ছিল এবং তা নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও তিনি টাকা পাননি। তার ছেলেকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।
এদিকে শনিবার বিকেলে আবু সাঈদের মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘন্টাখানেক অবরোধ করার সময় তারা আবু সাঈদের খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন জানান, আবু সাঈদ হত্যা বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি। ঘটনা উদঘাটন করতে মাঠে একাধিক টিম কাজ করছে। হত্যার ঘটনায় আবু সাঈদের বাবা ইউসুফ আলী শনিবার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। ওসি আরও জানান হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Share This