বুধবার, ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঘোড়াঘাটে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে বছর জুড়ে হাসফাঁস

ঘোড়াঘাটে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে বছর জুড়ে হাসফাঁস

৪২ Views

আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ কালের গর্ভে বিলি হতে চলছে আরেকটি বছর। শেষভাগে প্রান্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাচ্ছেন কমবেশি সব মানুষ। ৫টি মৌলিক অধিকারের অন্যতম যে খাদ্য, মূল্য বৃদ্ধি পুরো বছর ধরে স্বস্তি দেয়নি তাদের বছরের শেষপ্রান্তে দেশ। গেল দুটি বছরের মতোই আরেকটি বছরের পুরোটা সময় জুড়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের মঝে দেখা দিয়েছে সীমাহীন ক্ষোভ। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির যে ধাক্কা হয় ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে। তা তৃতীয় বছরে এসেও চলমান। পুরো বছরে কখনো চাল,কখনো ডাল, কখনো তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে সিন্ডিকেটগুলোর কারসাজিতে। বছর শেষ ভাগ নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় সয়াবিন তেল নিে তেলেজমাতি,যার রেশ এখনো চলে। এমনকি সরকারের পলাবদল হওয়ার পরেও নিত্যপণ্যে বাজারে অদ্যবধি নেই কোন সুখবর। পুরো বছর জুড়েই আগের বছরের মতোই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। চাল,ডাল সয়বিন তেল, ডিম পেঁয়াজ,আলু প্রতিটি পন্যই বিক্রি হয় রেকট দামে। সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবার যে আলু তা অতিেিতর সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় গিয়েছে আলুর দাম। এমন কি ভরা মৌসুমেও তা সাধরণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিলো না। বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। একই ভাবে পুরো বছর পেঁয়াজের ঝাঁজে কাঁদিয়েছে সাধারণ মানুষকে। আরেক জুরুরি নিত্যপণ্য ডিম বছরের মাঝামাঝিতে ৬০ হালি পর্যন্ত বিক্রি হয়। পুরো বছর জুড়ে কাচা মরিচের ঝাঁজ অব্যাহত ছিল। যা বছরের শেষভগে এসে ১০০ টাকা নিচে নামে।স্বস্তি নেই সয়াবিন তেলেও খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ১৮৫ টাকা এ দাম এখনো চলমান। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ শত টাকা। সরকার কর্তৃক শুল্ক কমানোর পরেও সিন্ডিকেটগুলোর কারণে সুফল মিলছে না। মুদি দোকানি আব্দুস সামাদ বলেন ডিলার কর্তৃক এমন এমন আচারণের কারণে বিগত দের মাস ধরে দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল আনিনি। পরো বাজরে যে সয়াবিন তেল তা পর্যাপ্ত না। পরো বছর জুড়ে বাজারের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকায় তা স্বস্তি দেয়নি সাধারণ মানুষকে। ক্রেতারা চান বাজার নিয়ন্ত্রণ। ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আইমা বেগম বলেন সবার আগে চাই নিত্যপণ্যের বাজার নিন্ত্রন। নতুন বছরে প্রশাসন ও সরকারের কাছে আমাদের এটাই প্রত্যাশা। রামেশ্বরপুর আইয়ুব আলি বলেন গত কয়েক বছর ধরে যা দেখতে হলো তার পুনরাবৃত্তি আমরা আর চাই না। অন্যদিকে, বছরের শেষবাগে এস বেড়েছে মাসের দাম বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, দেশী মুরগি ৪০০-৪২০ টাকা গরুর মাংশ ৭০০শত টাকা, খাসীর মাশ ১০০০-১২০০ টাকা, বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে জাটকা ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকা সিলভার র্কাপ মাঝারি ১৪০-১৮০ টাকা,পাঙ্গাশ ১৫০-১৮০ টাকা, কাতল, রুই, মিরগা জাতভেদে ২২০-২৮০ টাকা,বাটা জাতভেদে ১৮০-২৫০ টাকা, ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা,হাঁেসের ডিম ৭০-৮০ টাকা, কয়েল পাখির ডিম ১৪-১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চাল আমদানি হলেও কমেনি দাম প্রতি কেজি স্বর্ণা ৫৬-৬০ টাকা, আটাশ ৬০-৬৪ টাকা,মিনিকেট৬৬-৭০ টাকা,বাঁমতি ৮০-৮৫ টাকা,চড়া দামে বিক্রি হচেছ সব রকম ডাল মুগ ডাল ১৬০ টাকা,ছোলা ১৪০টাকা, মসুর ডাল জাত ভেদে ১১০ থেকে১৪০ টাকা, বুটের ডাল ৮০-১০০ টাকা, মাস ডাল ১৮০-২০০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, পেকেট লবন ৪০ টাকা, খোলা ময়দা ৪২ টাকা, পেকেট ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, নতুন আলু ৫০-৬০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা ১২০ টাকা,কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা, শীতকালিন সবজি মধ্যে ফুলকপি ১০ টাকা,বাঁধা কপি২০ টাকা,সিম জাত ভেদে ২৫- ৪০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা,মুলা ২০ টাকা,লাউ ৩০-৪০ টাকা, গাজার ৪০-৫০ টাকা, কদু ৪০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা শশা ৪০-৫০ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক, পালন শাক ধনে পাতা শরিসা শাক আটি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Share This