![রাজশাহীতে মেয়র সাইদুরের তুঘ্লগি কান্ড ওয়াক্কফ সম্পতি দখল করে রাস্তা নির্মাণ রাজশাহীতে মেয়র সাইদুরের তুঘ্লগি কান্ড ওয়াক্কফ সম্পতি দখল করে রাস্তা নির্মাণ](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/01/20230124_142853.jpg)
রাজশাহীতে মেয়র সাইদুরের তুঘ্লগি কান্ড ওয়াক্কফ সম্পতি দখল করে রাস্তা নির্মাণ
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
কাজী এনায়েত উল্লাহ, রাজশাহী অফিসঃ
রাজশাহী জেলার তানোরে ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি বলপূর্বক দখল করে পাকা রাস্তা নির্মান করছেন মুন্ডমালা পৌর সভার মেয়র সাইদুর রহমান। এঘটনায় ওয়াকফ এস্টেটের ৩জন মতোয়াল্লী বাদি হয়ে মুন্ডমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার মুন্ডমালা পৌরসভার পাঁচন্দর মৌজার জে-এল নং ৭০, আরএস খতিয়ান নং ১৯৩, সেখানে মোট ১১ বিঘা সম্পত্তি চাপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা কিসমতুল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি।
ওই সম্পত্তির (ফসলী জমির) মাঝ দিয়ে ১০/১২ ফুট চওড়া এবং লম্বায় ৫শ’ ফুট জায়গার উপর দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে পাকা রাস্তা নির্মান কাজ শুরু করেছেন মুন্ডমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান। এনিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
আমনুরা কিসমতউল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ৩জন যুগ্ন মতোয়াল্লী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা মিয়াপাড়ার মৃত মহাসিন আলী মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম, মৃত হাসিম উদ্দিন মিয়ার পত্র জিয়াউর রহমান এবং মৃত শামসুদ্দিন মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলাম মেয়রকে কাজ বন্ধের অনুরোধ করেন।
কিন্তু মেয়র সাইদুর রহমান তাদের কথার কোন কর্ণপাত না করে জোর পূর্বক ভাবে রাস্তা নির্মান করছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তানোর-মুন্ডমালা সড়কের মাহালীপাড়া নামকস্থান থেকে দক্ষিনে বাগমারা পাড়া যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন আগে ইট সোলিং এর আরসিসি ৬ফিট প্রসস্ত ৮শ’ মিটার দীর্ঘ রাস্তা নির্মান করা ছিলো।
ওই রাস্তাটি বর্তমানে ১২ফুট চওড়া করে পাকা করার কাজ শুরু করা হয়েছে। ওই রাস্তা নির্মান করা হলে কিসমতুল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের প্রসস্থ্য ১২ফুট ও লম্বায় প্রায় ৫শ’ ফুট সম্পত্তি (ফসলী জমি) পড়ছে, এতে জমির পরিমান প্রায় ১বিঘা। বর্তমান বাজারে অনুসারে যার মুল্যে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
এবিষয়ে আমনুরা কিসমতউল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মতোয়াল্লী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা মিয়াপাড়ার মৃত মহাসিন আলী মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা নির্মানে তার প্রায় ১ বিঘা জমি রাস্তার উপর পড়বে।
তিনি বলেন, আইনকে তোয়াক্কা না করে এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে আমাদের ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি (৩ ফসলী জমি)’র মাঝ দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করেছেন মেয়র সাইদুর রহমান।
এব্যাপারে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে মুন্ডমালা পৌর সভার মেয়র সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগে থেকেই ৬ফিট চওড়া ইট সোলিং রাস্তা করা ছিলো, যা বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় রাস্তাটি প্রসস্থ্য করে নতুন ভাবে নির্মান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একাধীকবার গ্রামের লোকজন নিয়ে ওই সম্পত্তির মালিকের বাড়িতে গিয়ে রাস্তার জন্য আরো ২ফিট (মানে মোট ৮ ফিট প্রসস্থ্য) রাস্তা নির্মানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা ক্লিয়ারলি কিছুই বলেননি।