রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিরলের বেতুড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বিরলের বেতুড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

৯৫ Views

আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর) দিনাজপুরের বিরলের বেতুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের এলোপাথারীভাবে বেত্রাঘাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহত শিক্ষার্থী রুফাইদা আক্তার এর বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে রফিকুল ইসলাম জানান, বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের বেতুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার (৯ জুন) বিকেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা শ্রেনী কক্ষে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করছিল। শ্রেনীকক্ষে শিক্ষার্থীদের চেচামেচির শব্দ শুনতে পেয়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ৬ষ্ঠ শ্রেনীর সকল শিক্ষার্থীদের তাঁর অফিস কক্ষের সম্মুখে ডেকে নিয়ে চেচামেচির অপরাধে একাধারে সকল শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত শুরু করে। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এর আকস্মিক বেত্রাঘাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিদ্যালয় ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব বাড়িতে গিয়ে আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পরলে বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি অবগত করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এর কাছে আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ঘটনার বিষয় জানতে গেলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টো হুমকি প্রদর্শন করেন বলে অভিভাবকরা জানান। আহতদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর খ-শাখার রুফাইদা আক্তার (১২) যার রোল নং- ১১, শ্রীমতি বর্ষা রাণী রায় (১২) যার রোল নং- ৩৬ এবং শ্রীমতি তিস্তা রাণী রায় (১২) যার রোল নং- ১২ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করেছে। সেজুতি রাণী রায়, খাদিজাতুল কুবরাসহ অন্যান্য আহতরা স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছে বলে জানা গেছে। অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম ঘটনার সুষ্ঠ্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘটনার বিষয় জানতে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মওলা শাহ্ এর মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশাসহ বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি শুনেছেন। দুষ্টমি করার জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেনীর সকল শিক্ষার্থীদের বেতের আঘাত করেছে ঠিকই কিন্তু কোন আক্রশমূলক নয় বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন অভিযোগের বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হবে।

Share This

COMMENTS