বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

উদ্বোধন হলো স্বপ্নের যমুনা রেলসেতু

উদ্বোধন হলো স্বপ্নের যমুনা রেলসেতু

Views

এইচএমমোকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জ ;  ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হলো স্বপ্নের যমুনা রেলসেতু।  মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টারদিকে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর ইব্রাহিমবাদ স্টেশন থেকে স্পেশাল একটি ট্রেন সেতুর পশ্চিম পারসিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ স্টেশনে পারাপারের মধ্য দিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গেউত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। উদ্বোধনী ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে৪.৮ কিলোমিটার মূল সেতু পার হতে সময় লাগে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড। এর আগে সকাল সাড়ে১০টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্তজাপানি রাষ্ট্রদূত এইচ.হি মিস্টার সাইদা শিনিচি জাইকার সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টরজেনারেল মিস্টার. আইটিও তেরিউকি,এছাড়াও বক্তব্য দেন যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আলফাত্তাহ মাসুদুর রহমান, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওযও এর প্রতনিধিি গৎ. ঝযরহলযড় শধরভঁশড় ও ঙঞঞ প্রতনিধিি গৎ. গধৎশ যধননু. উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়েরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাইকার কর্মকর্তা এবং সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশসুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ওবাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈঘ্যের এ প্রকল্পটির ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা।  জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানপ্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ৭হাজারেরও বেশি কর্মীর টানা ৪ বছরের পরিশ্রমে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেতুটিতে৫০টি পিলার, প্রতি দুই পিলারের মাঝে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। মূল সেতুরদৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার হলেও দু’দিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচএমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করাহয়েছে। যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রধানপ্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটিস্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর ওপরদিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।  তিনি বলেন, নির্মিত এই সেতুটিঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্ত সুচনা করবে। ঢাকার সঙ্গেরাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে সেটা আরথাকবে না। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমেযাবে পরিবহন খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে। উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্নপণ্য সহজেই ঢাকাসহ সারাদেশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

Share This

COMMENTS