
বুরুজবাগান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ ও চাকুরীতে যোগদানের ব্যাপক অসংগতির অভিযোগ

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ বুরুজবাগান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের নিয়োগ ও চাকুরীতে যোগদানের ব্যাপক অসংগতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তৎকালিন সময় প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সহযোগিতা করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দীন। ফলে এক প্রতিষ্ঠান থেকে আর একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের নিয়ম না মেনে একই সময়ে ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতাদি গ্রহন করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের নিয়োগ পত্রে যোগদানের তারিখ ০১ জুলাই/২০১১ কিন্তু অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন ১৫ সেপ্টেম্বর/২০১১ তারিখে কিন্তু খাতা কলমে যোগদান ১৫ জুলাই/২০১১, তাছাড়া প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে আবেদনকারীর স্বহস্তে লেখা দরখাস্ত আহব্বান করা হয়, কিন্তু তিনি তা না করে কম্পিউটারে কম্পোজ করে আবেদন দিয়েছেন। এমপিও নীতিমালা ও নিয়োগ বর্হিভূত বিধানমতে নিয়োগ না করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তাছাড়া পূর্বে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়সা চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বুরুজবাগান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে যোগদানের সময়ের মধ্যে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে একই সময়ে ৩ মাসের বেতন উত্তে¡ালন করে আত্বসাথ করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ প্রধান শিক্ষক সাবেক সংসদ সদস্যের ক্লাস ফ্রেন্ড হিসেবে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে যোগদানের কারনে সংসদ সদস্যর আস্তাভাজন হওয়ার জন্য শিক্ষকদের ফান্ড থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে নির্মান করে আফিল বিজ্ঞান ভবন। কিন্তু গেল ৫ই আগষ্টের কয়েক দিন পর ঐ সাইন বোর্ড লেখাটি নিজেই তা মুছে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এছাড়া হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুল পাশাপাশি হওয়ার কারনে প্রাইমারী স্কুলের নতুন বিল্ডিং নির্মানের সময় একাধিক মেহগুনী গাছ বিক্রয় করে প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান প্রাইমারী স্কুলের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে হাই স্কুলের জমিতে নতুন বিল্ডিং নির্মানের অনুমতি দেয়। স্বচেতন এলাকাবাসি ও সাধারণ অভিভাবক দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। সাবেক সংসদ সদস্যর ক্লাসফ্রেন্ড হওয়ায় নিজেই এমপির পাওয়ার দেখিয়ে বিগত ১৭ বছরে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাথ করেছেন। তাছাড়া শিক্ষক সমিতির প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাথ করেছেন। অনিয়ম দূনীর্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাথের কারনে। গত ১৭ বছর বেতন তোলার প্রয়োজন পড়েনি প্রধান শিক্ষক মমিনুরের। প্রধান শিক্ষক মমিনুররের সাথে তার মোবাইল ফোলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি।