
ঘোড়াঘাটে শিমুল ফুলে প্রকৃতি নিয়েছে নতুন সাজ

আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে রঙিন সাজে। গাছে গাছে রঙিন ফুল আর কোকিলের কলতান। সবকিছুর মধ্যেও প্রকৃতিকে অন্য রকমভাবে সাজিয়েছে শিমুল ফুল। গ্রামের পথে-প্রন্তে, মাঠঘাটে, পুকুরপাড়ে, বিভিন্ন উদ্যানে, বাড়ির আঙিনাসহ বিভিন্ন জায়গায় ফুটছে রক্তিম আভা ছড়ানো শিমুল ফুল। প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয় সেই গানের লাইনটি ‘বসন্ত বাতাসে বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে, সই গো বসন্ত বাতাসে। ঘোড়াঘাট উপজেলার এলাকার রান্তার দুপাশে, পুকুরপাড়ে শিমুলগাছে ফুল বাতাসে দোলা খাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। যা পথচারীসহ দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে। তাছাড়া গাছে গাছে আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। স্নিগ্ধ সবুজ কচি পাতার ধীর গতিময় বাতাস জানান দিচ্ছে নতুন লগ্নের। জানা গেছে, শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বোমবাক্স সাইবা লিন। বীজ ও কান্ডে মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। প্রাকৃতিকভাবেই শিমুলগাছ বেড়ে ওঠে। শিমুলগাছ কেবল সৌন্দর্যই বাড়ায় না এই গাছে রয়েছে নানা উপকারিতা এবং অর্থনৈতিকভাবে ও বেশ গুরুত্ব বহন করছে। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে শিমুলগাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজ গুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। এলাকার সাইদুল বলেন, শিমুল ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই মুগ্ধ করবে যে কাউকে। শিমুলগাছের পাশ দিয়ে গেলে মনটা একদম জুড়িয়ে যায়। এই সৌন্দর্য বর্ণনা করা কঠিন। আমাদের সকলের উচিত এই শিমুলগাছ না কেটে এটাকে সংরক্ষণ করা। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে শিমুলগাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজ গুণ। শিমুলের ইংরেজি নাম সিল্ক কটন ট্রি। এই গাছকে টিকিয়ে রাখতে হবে।