বালু মহাল মামলায় ঘটনাস্থল পরিবর্তন এক জেলার ঘটনা অন্য জেলায় ॥ তীব্র প্রতিক্রিয়া
এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হন। এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার ঘটনায় হওয়ার জন্য এলাকায় আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঐমামলার ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। মামলায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের ঘটনাটি মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর এলাকায় দেখানো হয়েছে। এনিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। এদিকে গতকাল(৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজ আবারো বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে।এটাকে কেন্দ্র করে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সংঘর্ষে আহত জনৈক যুবলীগনেতা এমরান আলী বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান আসামী আহমদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
ঐমামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর নতুন বস্থি মসজিদের পাশে। মুলত বালু উত্তোলন নিয়ে মারামারির ঘটনাটি সংঘঠিত হয় নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড় ও বনগাও গ্রামের মধ্যেখানে। রহস্যজনক ভাবে মামলায় ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে মামলা রের্কড ও আসামী গ্রেফতার নিয়ে এলাকায় চরম প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পারকুল গ্রামের বাসিন্ধা আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কয়ছর আহমদ বলেন মামলায় এক জেলায় ঘটনা পরিবর্তন করে অন্য জেলায় নেওয়া হয়েছে। আমরা অনেকটা মর্মাহত হয়েছি একটি ঘটনা কিভাবে পরিবর্তন করা হয়। আমরা উক্ত সাজানো মামলার জন্য নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিষয়ে মামলার আসামী হেলাল আহমদ বলেন, আমরা শেরপুর এলাকায় কোন ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এটা মামলার বাদী তার মনগড়া এজাহার দাখিল করে পুলিশ দিয়ে আমাদেরকে হযরানি করছে। আমরা সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
এামলার বাদী মোঃ এমরান আলী বলেন, আমাকে প্রথমে নবীগঞ্জ থানা বনগাও ও পাহাড়পুর এলাকায় মারপিট করে আহত করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আমাকে শেরপুর এলাকায় মারপিট করা হয়। সেই ঘটনায় মামলা করেছি।নবীগঞ্জের ঘটনায় মামলা করেনি।
এমামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিপু কুমার দাশ তিনি বলেন, ‘বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে মামলা রের্কড করে আসামী গ্রেফতার করা হয় । মামলায় ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হলে তদন্ত মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর বালু বৈধভাবে মহাসড়কের সিক্সলেনে কাজে বরাদ্দ দেওয়ার সময় ছাত্রলীগ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতির নেতৃত্বে একদল লোক ৭টি বালু ভর্তি ট্রাক আটক করেছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে ৭ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে।। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ভর্তি ট্রাক গুলো উদ্ধার করেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজে বৈধ ভাবে বালু সরবরাহের কাজে একটি পক্ষ গতকাল রবিবার সকালে বাঁধা প্রদান করেছেন।
জানাগেছে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সিক্সলেন উন্নয়ন কাজের জন্য বালু বরাদ্ধ করার জন্য মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ থেকে কুশিয়ারা নদীর বালু উত্তোলন করে মহাসড়কের নবীগঞ্জ এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি বাইপাস মহাসড়ক দিয়ে বালু ভর্তি ট্রাক নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার মহাসড়কে আসার সময় বাঁধা প্রদান করেন। বাঁধা প্রদানকারীরা ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে মা এন্টারপ্রাইজের ম্যানাজার মো: সাঈদ আলী এই মর্মে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঊভয় ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, বালূ মহাল এলাকায় আইন র্মংখলা রক্ষায় পুলিশ সব সময় শর্তক রয়েছে। কোন পক্ষ উত্তেজনার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।