তারেক রহমানের ৩১ দফা ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রসংস্কারে-আরিফুল ইসলাম বিলাত
বাঘা (প্রতিনিধি) প্রতিনিধি : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এবং রাষ্ট্রসংস্কার কাজে রাজশাহীর-৬ (বাঘা-চারঘাট) এ আরিফুল ইসলাম বিলাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমাদের সুযোগ দিতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের। দলের বদনাম হবে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল কে অনুরোধ জানান। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের মাঝে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন আরিফুল ইসলাম বিলাত।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে বাঘা থানায় জাতীয় পতাকার বক্্র নিজ অর্থায়নে তৈরি করে দিয়ে আরিফুল ইসলাম বিলাত বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফায় রাষ্ট্রসংস্কার ও আগামীর ভোটের কথাও আছে। তারেক রহমান শুধু না আমরাও তো ভোটের কথাই বলব।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার একদিনে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে এই জাতির ঘাম ঝরানো সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের মহান সেনাপতি হিসেবে কাউকে বিবেচনা করতে গেলেই উচ্চারিত হবে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম। ৫৫ হাজার বর্গমাইল জুড়েই তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান।
ঔপনিবেশিক ইংরেজ শাসনামলে বাঙালি রক্ত দিয়েছে। লড়াই করেছে শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে। সোয়া ২শ’ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম ও লড়াইযয়ে রক্ত দিয়েছে এই বাঙালি জাতি। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনেও ছিলো বাঙালিদের অবদান। বাঙালিরাই ছিলো পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ম‚ল কারিগর। কিন্তু কয়েক বছরেই বাঙালির স্বপ্নভঙ্গ হয়। যে শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা ইংরেজদের বিতাড়িত করেছিলো সেই একই রকম শোষণ বঞ্চনার মুখোমুখি হয়ে পড়ে কয়েক বছরের মধ্যেই। শুরু হয় সংগ্রামের নতুন যুগ। পাকিস্তানীরা এ ভ‚খন্ডের মানুষকে তাদের তাঁবেদার মনে করতো। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রেই তারা বঞ্চিত করতো বাঙালিদের। এমনকি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতেও তারা অস্বীকার করতো। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান এ সবই ইতিহাসের বাঁক ঘুরিয়ে দেয়।
২০২৪ এর ছাত্রজনতার ও বিএনপি, যুবদল,সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তাঁর এমপি মন্ত্রীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তারা জনগণের পাশে ছিলো না। তারা দমন পীড়নে সব সময় ব্যাস্থ থাকতেন। তাই আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত হতে পারছি কিনা দেখতে হবে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আফম আসাদুজ্জান বলেন, বাঘা থানায় জাতীয় পতাকার বক্্র আরিফুল ইসলাম বিলাত এর সৌজন্যেই হয়েছে।