বাগমারায় কৃত্রিম সংকটে সারের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে কৃষকরা
নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় চলতি রবি মৌসুমের শুরুতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে উপজেলার বিএডিসি ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। বর্তমানে প্রতি বস্তা সার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানিয়েছে, প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের সরকারের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য ২৭ টাকা, টিএসপির (ট্রিপল সুপার ফসফেট) ২৭ টাকা, ডিএপি ২১ টাকা ও এমওপির কেজি ২০ টাকা। এবং কেউ যদি সিন্ডিকেট করে সার বিক্রি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, বিক্রেতারা দোকানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখলেও সে অনুযায়ী বিক্রি করছেন না তারা। প্রতি বস্তা সার সরকারি মূল্যের চেয়ে কিনতে দুই থেকে তিন শ’ টাকা বেশি নিচ্ছে। কৃষক সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলেন। তবে দাম বেশি দিলেই সার পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিক্রেতারা কৃষকদের কোনো সঠিক বিক্রয়ের রসিদ দেন না তারা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। রামরামা গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া জানান, এ বছর সরিষা চাষের জন্য ডিএপি’র এক বস্তা সার ১৫৫০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এ ছাড়াও টিএসপির এক বস্তার সার ১৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। রশিদ চাইলে দোকান থেকে কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি। চাষীরা জানান, শুধু বাজার মনিটরিং করেই এ সমস্যা সমাধান হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে সারের দাম যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে তারা আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়বেন। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন সরাসরি অভিযান চালানোর জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসে না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।