মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
যশোর প্রতিনিধি : বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করায় যমুনা টিভি ও যুগান্তরের বেনাপোল প্রতিনিধি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বেনাপোল পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি-শ্রমিক, চেকপোস্ট বাজার কমিটিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় বেনাপোল স্থলবন্দর বাস টার্মিনালের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৪ নভেম্বর বেনাপোল পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে যমুনা টিভি ও যুগান্তর প্রতিনিধি কামাল হোসেন টিভিসহ গণমাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করলে ফুঁসে ওঠে পরিবহন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক কামালের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন তারা। একইদিন সকালে বাংলাদেশ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়নের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসলে পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি, সাধারণ ব্যবসায়ি ও এলাকাবাসী কথিত সাংবাদিক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলে ধরেন। এসময় উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বেনাপোল স্থলবন্দর বাস টার্মিনাল চালু রাখার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন এবং ভারত বাংলাদেশ যাতায়াত নিয়ে কেউ যেন বিভ্রান্তিতে না পড়ে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বেনাপোল পরিবহন সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলি ইদু, বেনাপোল পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ পরিবহন সমিতি ও ব্যবসায়ি সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। কামাল কেন টার্মিনাল চালু করতে ও চেকপোস্টে পরিবহন যাওয়া বন্ধ করতে ইন্টারেস্ট বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকি দিয়ে টাকা নিয়ে বেনাপোল পৌরসভার বাস টার্মিনালের সামনে তিন তলা একটি বিল্ডিং বানিয়েছে যুগান্তর ও যমুনা টিভির সাংবাদিক চাঁদাবাজ কামাল হোসেন। লোকজন টাকার চাপ দিলে বলে টার্মিনাল চালু হলে তোমাদেও টাকা দিয়ে দিব। কিন্তু টার্মিনাল চালু না হওয়ায় খুব সমস্যায় পরে। পরে টার্মিনাল চালু করার জন্য বিভিন্ন দেন দরবার করে পত্রিকা ও টিভিতে নিউজ করে। টার্মিনাল চালু হলে ঢাকার পরিবহনগুলো বর্ডারে যাওয়ায় ওর বিল্ডিং এ কেউ দোকান নিচ্ছে না। যার ফলে আবারও নানা হুমকি দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পরিবহনগুলো কাগজপুকুর টার্মিনালে আটকিয়ে দেয়। এর পর থেকে পরিবহন মালিক সমিতি এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঢাকায় স্থল বন্দর, নৌ পরিবহন উপদেস্টা ও পরিবহন মালিক সমিতির সাথে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরিবহনগুলো চেকপোস্টে যাবে। এসি বাসগুলো চেকপোস্ট টার্মিনালে থাকবে আর নন এসি বাসগুলো চেকপোস্টে যাত্রী নামিয়ে টার্মিনালে এসে থাকবে। আবারও কুটকৌশল শুরু করে কামাল হোসেন। বাংলাদেশ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়নের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের হুমকি দেয়া শুরু করে। বেনাপোল বন্দরের আগের পরিচালককে বদলী করে দিয়েছি বর্তমান পরিচালককে বদলী করে দেয়ার হুমকিও দেন কামাল। নৌ-পরিবহন উপদেস্টার সাথে আমার প্রতিদিন ৪/৫ বার করথা হয়। যা বলবো তাই হবে এসব কথা বেনাপোলের বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়ায়। চেকপোস্টে পরিবহন যাওয়া আটকাতে ব্যর্থ হয়ে ২৪ নভেম্বর যমুনা টিভিতে লাইভ করে স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী, চেকপোস্ট বাজার কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্ত সংবাদ প্রচার করে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বেনাপোল চেকপোস্টের পরিবহনসহ ব্যবসায়ীরা। তার বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে পরিবহন ব্যবসায়ীসহ চেকপোস্ট ব্যবসায়ীরা। তারা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত সাহেবের সামনে স্পস্ট ভাবে এ সব কথা ও তার নাম ভাঙিয়ে এসব করছে বলেও জানান। উপদেস্টা এ সময় টিএনও ওসিকে কামালের নামে মামলা করার কথা জানান এবং তার নাম যে ভাঙাবে তার নামে মামলা করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরাও ছি ছি করছে। এদিকে পাসপোর্টযাত্রীদের সুবিধার্থে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বেনাপোল চেকপোস্টের ফুটবল মাঠটি একর করে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৭ টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেন। দুই তলা বাস টার্মিনালের নিচ তলায় রয়েছে বিভিন্ন পরিবহনের ১২টি টিকিট কাউন্টার, ৩০ হাজার স্কয়ার ফুটের পার্কিং এর ব্যবস্থা, দ্বিতীয় তলায় রয়েছে যাত্রীদের জন্য রেষ্ট রুম, ২টি দোকান। যা তৎকালিন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি গত ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট বন্দর বাস টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। তখন থেকে টার্মিনালে ঢাকাসহ দুরপাল্লার বাসগুলো অবস্থান করে আসছে। এর ফলে ভারত থেকে আগত ও ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীরা এ টার্মিনালে মধ্যে পরিবহনে উঠানামা করেও আসছে। আন্ত:জেলা বাসগুলো বাজার থেকে চলাচল করতো।