পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের সংখ্যালঘু সদস্য অন্তর্ভুক্তির দাবি
জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তা থেকে সদস্য অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণাকে ইতিবাচক ও জনগণের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ আখ্যায়িত করে সাধুবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
দলটি উক্ত কমিশনে সদস্য হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংবিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন পাহাড়ি এবং সমতল অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ থেকে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।
আজ (১২ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে উক্ত দাবি জানিয়ে বলেন, জনগণের প্রকৃত সংবিধান রচনা করতে হলে অবশ্যই দেশের সকল জাতিগোষ্ঠী ও সকল শ্রেণীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন পাহাড়ি এবং সমতল অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ থেকেও এক জনকে উক্ত কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ও জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গঠিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ১৯৭২ সালের পর এ পর্যন্ত সতের বার সংশোধন করা হলেও সংবিধানটি সকল জাতিসত্তা ও সাধারণ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠার পরিবর্তে তা ফ্যাসিস্ট শাসকের দমন-পীড়ন ও কালাকানুন প্রয়োগের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছ। অন্যদিকে সাংবিধানিকভাবে দেশের সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ওপর বাঙালি জাতীয়তা আরোপ করে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বর্তমানে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার যে শর্ত ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বাগ্রে রাষ্ট্রের মূল দলিল সংবিধানকে নতুনভাবে রচনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে ইউপিডিএফ নেতা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।