সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সেনবাগে ধর্ষণ মামলার সংবাদ সংগ্রহ কালে সাংবাদিকের ওপর হামলা ক্যামেরা ও টাকা লুট ,মোটরসাইকেল ভাংচুর

সেনবাগে ধর্ষণ মামলার সংবাদ সংগ্রহ কালে সাংবাদিকের ওপর হামলা ক্যামেরা ও টাকা লুট ,মোটরসাইকেল ভাংচুর

৩০ Views

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি; নোয়াখালীর সেনবাগে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্ঠার ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে মোঃ আমজাদ হোসেন প্রকাশ আমজাদ শিবলু (৩৩) নামের এক সাংবাদিক। ওই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউপির পরিকোট গ্রামের জয়নাল হুজুরের বাড়িতে।
আমজাদ শিবলু পরিকোট গ্রামের মৌলভী বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার রহমানের ছেলে ও আমাাদের বাংলার সেনবাগ উপজেলা প্রতিনিধি। এ সময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আমজাদ শিবলুকে বেধর মারধর করে তার ক্যামেরা,নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তার সে আত্মরক্ষায় এক ঘরে আশ্রয় নিয়ে আত্মচিৎক করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে সেনবাগ উপজেলা সরকারি ৫০ শয্যা হাসপাতাল ভর্তি করে। তার চোখ,মুখ,কান,হাতসহ শরীরে অংশে আঘাত প্রাপ্ত হয়। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান.সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এমএস মিজানুর রহমান।

জানাগেছে, গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত অনুমান ১০টার সময় উপজেলার ৩ নং ডুমুরুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পরিকোট গ্রামের ভিকটিম (২৩) বসত ঘরের বাহিরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে টয়লেটে যাবার সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা এই গ্রামের তিতা মিয়ার বাড়ির আবদুর রশিদের লম্পট ছেলে আবদুল মান্নান প্রকাশ সুমন ও তার অপর সহযোগী মিলে পিছন থেকে ভিকটিমের মুখ চেপে ঝাপটে ধরে। এ সময় দুই লম্পট ভিকটিমের শরীরে থাকা ওড়না ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূকে ওই ওড়না দিয়ে গৃহবূধর মুখ-হাত ও পা বেঁধে পেলে এবং ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায়। দীর্ঘ ক্ষণেও গৃহবধূ ঘরে না আসায় তার শ্বশুর ও শাশুড়ী ঘরের বাহিরে এলে ধর্ষকরা গৃহবধূকে ফেলে রেখে পালিয়ে ৫ায়। গৃহবধূ জানায় তার মাথা,পাজর ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তিনি জানান,আঘাতের কারণে হাটতে ও চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে
এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ১২ মার্চ বুধবার সেনবাগ থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্ঠা মামলা দায়র করে। মামলা নং৭(১২/০৩/২৫ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০ এর ৯(৪)(খ)৩২৩ পেনাল কোড দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করছে সেনবাগ থানার এস আই আবদুস সালাম । দীর্ঘ তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে না পারায় শুক্রবার বাদ জুম্মা ভিকটিমের পরিবার,এলাকাবাসী ও যুবসমাজ একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ওই মানববন্ধন কর্মসূচি ও ধর্ষণের চেষ্ঠার ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করা কালে ওই হামলা ভাংচুর,লুটপাটের ঘটনাটি ঘটেছে।
এব্যাপারে যোগযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এসএম মিজানুর রহমান জানান,অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতারে সেনবাগ থানা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

Share This