শুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">সৈয়দপুরে রেল কারখানার কর্মচারী কে এই রাসেল</span> <span class="entry-subtitle">বিভিন্ন দূর্নীতি, কোয়াটার বেদখল প্রতিবাদে কারখানা ঘেরাও</span>

সৈয়দপুরে রেল কারখানার কর্মচারী কে এই রাসেল বিভিন্ন দূর্নীতি, কোয়াটার বেদখল প্রতিবাদে কারখানা ঘেরাও

২৪০ Views

সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি \ সৈয়দপুরে রাসেল (৩০) নামে রেলকারখানার এক কর্মচারীর রেলের কোয়াটার বেদখল, রেলের জমি বিক্রয়, প্রতিবেশিদের সাথে অসাদাচরনসহ নানান অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ন্যায় বিচারের দাবীতে স্থানীয় ছাত্র জনতা রেলকারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক ও কর্মব্যাবস্থাপকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে কর্মব্যবস্থাপক শেখ হাসানুজ্জামান তার নিজ কার্যালয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনে দ্রæত আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়ার আশ^াস দেয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা যায়, সৈয়দপুর গোলাহাট রেলকলোনীর পশ্চিম সংলগ্ন এলাকায় রেলওয়ের বসবাস করে আসছেন। সৈয়দপুর রেলকারখানার এসি সোপের কর্মচারী আরিফুল হক (৩৫)। তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যান। বাড়ি থেকে ফিরে দেখেন তার কায়াটার তালাবদ্ধ। তিনি সরকারকে ভাড়া দিয়ে বসবাস করা কোয়াটার তালামুক্ত করতে চাইলে প্রতিবেশি রাসেল নামে আওয়ামীলীগ যুবনেতা বাধা দেয়।
আরিফুল ইসলাম নামে রেলকর্মচারী অভিযোগ করেন, রাসেলের বড়ভাই সুজন তথ্য মন্ত্রণালয়ের পিয়ন বলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলাফেরা করেন। তারা দু’ভাই মিলে তাকে সৈয়দপুর প্লাজার চারতলায় নিয়ে জবরদস্তি সৈয়দপুর রুপালি ব্যাংকের স্বাক্ষরিত দুটি চেকের পাতা ও ৩০ হাজার টাকা পাবেন বলে ষ্টাম্পে লিখে নেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মারধর ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। একই ভাবে ওয়েল্ডিং সোপের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী কর্মচারীর কোয়াটারও বেদখল ওই আওয়ামীলীগ যুবনেতা রাসেল। এ নিয়ে তিনি কারখানার ওয়েল্ডিং সোপের ইনচার্জ রাশেদ হাবিবের কাছে অভিযোগ দেন। তবে কোন প্রতিকার পাননি।
মো:আলম (৬৫) নামে একই এলাকার সাবেক সেনাসদস্য অভিযোগ করেন। সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ¯েœহ ভাজন হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে টু’শব্দটি করার সাহস পেতনা। অন্যায় করলেও নিরবে মেনে নিত ভুক্তভোগীরা। সে মারধর করে, আবার মামলায় জরিয়ে হয়রানী করে। তার ভয়ে এলাকার সকলে তটস্থ থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলকারখানার এক কর্মচারী জানান, তার দাপটে এলাকাবাসি অতিষ্ট। সে কাউকে মানে না। রেলের জায়গা দখলে নিয়ে ঘর বানিয়ে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে। দখল ও বাণিজ্য তার মুল পেশা। নাম মাত্র কারখানার ওয়েল্ডিং সোপে চাকুরী করে। নিয়মিত যায় না। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়টি ভাঙ্গার জন্য সংঘবদ্ধ ভাবে অন্যন্যদের সাথে লাঠি হাতে বীরদর্পে যান। যার একাধিক প্রমান থাকলেও আজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস ভাঙ্গার মামলায় তাকে রহস্যজনক কারণে রাখা হয়নি একটি বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়।
এমন নানা ধরনের অভিযোগ তুলে ন্যায় বিচার চেযে স্থানীয় ছাত্র জনতা সৈয়দপুর রেলকারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক ও কর্মব্যাবস্থাপক শেখ হাসানুজ্জামানের কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরে শেখ হাসানুজ্জামান আন্দোলনকারিদের ডেকে নেয় তার কার্যালয়ে। সেখানে ভুক্তভোগীদের হয়ে ছাত্র-জনতা অত্যাচারী ওই রেলশ্রমিকের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যাবস্থা নেয়ার আশ^াস প্রদান করেন। এ সময় রেলওয়ে কারখানার উর্ধ্বত্বন উপসহকারী প্রকৌশলী মো: শরিফুল ইসলাম, ইনচার্জ রুহুল আমিনসহ কারখানার বিভিন্ন সোপের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Share This