সেনাবাহিনী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১ দিনের বেতন দিলো
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদবির সেনাসদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গণম্যাধমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় আরও জানানো হয়, সম্প্রতি ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জে চলমান ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবতার সেবায় এসব অর্থ প্রদান করা হয়। বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাসদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি একটি মহতী উদ্যোগে সরাসরি সম্পৃক্ত হলো বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বন্যার্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ‘লজিস্টিকস এরিয়া রিলিফ ফান্ড’ হিসাব নম্বর ০০১৮-০২১০০১০১১০, দি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, রেডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেল শাখার অনুকূলে অনুদান প্রদান করতে পারবেন অথবা বিকাশ এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিকাশ নম্বর। ০১৭৬৯০১৩৮৫৮ প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন। যোগাযোগের নম্বর -০১৭৬৯-০১৩৬০৪, ০১৭৬৯-০১৩৫৩০।
এ ছাড়া ঢাকায় ত্রাণসামগ্রী প্রদানের জন্য সেনাবাহিনী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র; প্রযত্নেঃ লজিস্টিকস এরিয়া, ঢাকা সেনানিবাসে যোগাযোগ করুন। স্থান : সেন্ট্রাল অর্ডন্যান্স ডেপো (সি ও ডি), মিলিটারি উইং (হোটেল রেডিসন ব্লু সংলগ্ন)। যোগাযোগের নাম্বার – ০১৭৬৯-০৫১৮১৯, ০১৭৬৯-০১৩৮৩২, ০১৭৬৯-০১৩৫৩০ ও ০১৭৬৯-০১৩৬০৪।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানে আগ্রহী হলে নিম্নলিখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন:
ফেনী: ০১৭৬৯-৩৩২০৩২, ০১৭৬৯-৩৩২১৭৮। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন : ০১৭৬৯-২৪৪০১২। সীতাকুন্ড-মীরসরাই: ০১৭২৮-২০২৬৭৭, ০১৭৬৯-২৪২১৩২, ০১৭৬৯-২৪২১২৮। খাগড়াছড়ি : ০১৭৬৯-৩০২৩৪২, ০১৭৬৯-৩০২৩৩৬। ফটিকছড়ি : ০১৭৬৯-২৭২৩৪২, ০১৭৬৯-২৭২৩৩৬। মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ : ০১৭৬৯১৭০০০৬
উল্লেখ্য, খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বিস্কুট, চিড়া, গুড়, খেজুর, বান ও পাউরুটি, নুডুলস, খাবার স্যালাইন, গুঁড়া দুধ, চিনি ও খাবার পানি এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে দিয়াশলাই ও মোমবাতিকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।