
মধুখালীতে সয়াবিন তেলের সংকট, অতিরিক্ত দামে বিক্রি

শাহজাহান হেলাল,মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ রমজানের আগেই ফরিদপুরের মধুখালীতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানিদের অভিযোগ সংকটের জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান প্রায় দুই মাস ধরে কোম্পানি থেকে সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। পুষ্টি গ্রুপের মধুখালীর ডিলার রেজাউল করিম জানান, আমরা অর্ডার দিয়ে রেখেছি অনেক আগে কিন্তু কম্পানি থেকে কোন মাল দিচ্ছেনা। এতে বাজারে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ডিপো থেকে তেল সরবরাহ করছে না। রমজানের মধ্যে প্রোডাক্টশন চালু হবে কিনা সে বিষয়ে তার জানা নেই।বেশির ভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ৫ লিটার নেই। রয়েছে শুধু ২ থেকে ৩ লিটারের বোতল। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। মোঃ তারিকুল নামের ক্রেতা বলেন, এসব তেল মজুত করে রাখা হয়েছে। দাম বাড়ানোর জন্য এই কাজ করেছে অবৈধ সিন্ডিকেট।আরেক ক্রেতা মোঃ ইদ্রিছ বলেন, সব মুদি দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়, এখন অধিকাংশ দোকানেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোন কোন দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ সুযোগে খোলা তেলের দাম বেড়ে গেছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাধারন সম্পাদক মোঃ সজিব ইসলাম জানান, বাজারে বর্তমানে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। রোজায় দ্রবের দাম সহনীয় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্নয়ে বাজার মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সয়াবিন তেল কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফার আশায় তাদের প্রোডাক্টশন বন্ধ করে রেখেছেন।
সেজন্য বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে সয়াবিন তেলের সঙ্গে কম চাহিদার পণ্য নিতে বাধ্য করছেন।
মধুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুর রহমান বলেন, রোজার মাস ধরে বাজারে অভিযান চলবে। যারা বাজারে দ্রব্য মজুদ রাখবে,দাম বেশি রাখবে, এবং ওজনে কম ও ভেজাল দিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।