রবিবার, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ পৃথিবীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল -ধর্ম উপদেষ্টা

বাংলাদেশ পৃথিবীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল -ধর্ম উপদেষ্টা

২০ Views

নাটোর প্রতিনিধি ; ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল। পৃথিবীতে আর কোথাও হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, চাকমা, মারমা ও সাওতাল এক সাথে এমন সুন্দর ভাবে মিলে মিশে বসবাস করে না। পৃথিবীতে এটা একটা অনন্য রোল মডেল। যেকোন মূল্যে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখতে হবে। সকল ধর্মের মানুষই এই দেশের নাগরিক। তাদের অধিকারও সমান। তাই বর্তমান অন্তবর্তি সরকার বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছে। শনিবার বিকেলে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং লালপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের সকল মুসলিমদের মসজিদ মুখী ও নামাজী হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশের অপরাধ প্রবনতা কমে যাবে। নামাজ মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখে। হিংসুক বা ছোট মনের মানুষ কখনো বড় কিছু করতে পারে না। নামাজ মানুষকে হিংসা থেকেও দূরে রাখে। তিনি বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া চাকমা, মারমা ও সাওতালসহ ক্ষৃদ্রনৃগোষ্টির মানুষকে এগিয়ে নিতে আর্থিক ভাবে সরকার সহযোগীতা করছে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেছেন, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান প্রতিটি মানুষ এ দেশের নাগরিক। বিভিন্ন উপজাতিরাও এ দেশের নাগরিক। ৫৪ বছরে বাংলাদেশের যত অর্জন এতে সকল ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-মায়ানমার ওখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেখুন। তাদের সাথে আমাদের তুলনা করুন। আমাদের দেশেও যে মাঝেমধ্যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে না এমনটা নয়। আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি যারা কোন উপাসনালয়ে যে কোন ধর্মাবলম্বী মানুষের উপর হামলা করে তারা সন্ত্রাসী-কালপিট। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, নবাগত পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, ছাত্র প্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
সংশ্লিষ্ট স‚ত্রে জানা যায়, ইসলামী গবেষণা ও ধর্মীয় কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে ২০২৩-২০২৫ সালে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। দেশের ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। এসব মডেল মসজিদে একসঙ্গে ৯৫০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন,। যার মধ্যে ১২০ জন নারীর জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

Share This