
বিরলে কারখানা মালিক জাকির হোসেন এর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর) ॥ বিরলে এক কারখানা মালিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পিপল্ল্যা গ্রামের ঢেরাপাটিয়া বাজার এলাকায় মের্সাস জাকির ফুড প্রোডাক্টস নামক একটি কারখানা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত জাকির হোসেন (৫৫) দিনাজপুর কোতয়ালী থানার বালুয়াডাঙ্গা/চাউলিয়াপট্টি এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে। ঘটনায় নিহতের মেয়ে আলমা রাইসা প্রভা (২৮) বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলা এজাহারে জানায়, তাঁর মা জেসমিন হোসেন ২০১৩ সালে মারা যাওয়ায় তাঁর পিতা জাকির হোসেন (৫৫) বিরল উপজেলার ৩ নং ধামইর ইউনিয়নের দারইল গ্রামের রেজাউল আলম এর মেয়ে রানজিনা আলম ইয়ানাকে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরবর্তীতে আমার সৎ মাকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডির্ভোস দেন। আমার বাবার পূর্বে দিনাজপুর বাহাদুর বাজারে মুদির দোকান ছিল। আমার বাবা উক্ত দোকান বিক্রি করে বর্তমানে বিরলের পিপল্যা গ্রামের ঢেরাপাটিয়া বাজারে মের্সাস জাকির ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি কারখানা রয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টায় আমার বাবার বন্ধু মোঃ সাজু ফোনে আমাকে জানায় যে ঐ দিন সকাল ১১ টায় একাধিকবার তোমার বাবার ফোন নম্বরটি বন্ধ। আমার বাবার সাথে ৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টায় সর্ব শেষ কথা হয়েছে। পরবর্তীতে আমার বাবার মোবাইল নম্বর ০১৭১২ ৭৩৮৫৭৪ এ একাধিকার ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পাই। আমার বাবার নম্বরে ফোন দিয়ে না পেয়ে তখন দিনাজপুর শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকার মৃত তোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী এর ছেলে আমার উকিল শশুড় এনায়েত হোসেন চৌধুরীকে দুপুর দেড়টায় আমার বাবার ফোন বন্ধ থাকার বিষয়টি আবগত করি। উকিল শশুড় এনায়েত হোসেন চৌধুরী খোঁজাখুঁজির এক পয়ার্য়ে বিকাল পৌনে ৬ টার সময় বিরলের ঢেড়াপাটিয়া বাজারে মেসার্স জাকির ফুড প্রোডাক্টস কারখানায় গিয়ে মেইন গেইট বন্ধ পান। সে সময় আমার উকিল শশুড় কারখানায় পাশের সনজিত রায় এর ফার্নিচারের দোকানের ভিতর দিয়ে কারখানা গেইটে যাওয়ার পর কারখানার মেঝেতে রক্তাক্ত উপুর অবস্থায় মানুষ পরে থাকতে দেখে ভয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসে মেঝেতে উপুর হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ পরে থাকতে দেখতে পায়। পরে আমার ফুফাতো ভাই নাহিদ আলী (২৮) কে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পড়নের পোশাক ও দৈহিক গড়ন দেখে আমার বাবার মৃত দেহ সনাক্ত করে। খুনিরা তাঁর বাবাকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে কপালের বাম পাশের্^ ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম ও গলা টিপে শ^াসরোধে হত্যা করেছে বলেধারণা করা হয়।
পরবর্তীতে বিরল থানার পুলিশকে খবর দিলে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে আলমা রাইসা প্রভা (২৮) বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
বিরল থানার অফিসার ইনজার্চ আব্দুস ছবুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যার আসল মোটিভ উদ্ধার হবে।