শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রামে গো-খাদ্য হিসেবে কদর বেড়েছে কচুরিপানার

কুড়িগ্রামে গো-খাদ্য হিসেবে কদর বেড়েছে কচুরিপানার

মোঃবুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানার কদর বেড়েছে। বাজারে গো-খাদ্যের যে দাম তাতে বিশেষ করে প্রান্তিক গবাদিপশু (গরু) পালনকারীদের মূল ভরসার নাম এখন কচুরিপানা।  সব এলাকায় কচুরিপানা সহজেই মেলে এবং তুলনামূলক শ্রম ও সময় দুটোই সাশ্রয় হয়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেকে বাধ্য হয়েই সাধ্য মতো খড়ের আটি কিনছেন। ১শ খড়ের আটি সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ফিড প্রকার ভেদে সাড়ে ৭০০ থেকে ১৩৫০ টাকা ও গমের ভুষি প্রকার ভেদে প্রতিবস্তা ১৮০০/১৯০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যতিনের হাট এলাকার কার্তিক, চাঁদ মিয়া, সুশান্ত, এরশাদসহ অনেকে প্রতিদিন সকালে কচুরিপানা কাটতে আসেন। এরা কেউ কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী , কেউ দিন মজুর, কেউবা রাজমিস্ত্রী তারা বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই গরুর খাদ্যের যে দাম কিনতে পারি না । এবার কচুরিপানা এলাকায় না থাকলে গরু বাঁচানো খুব কষ্ট হত।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গো-খাদ্যে সংকটের কারণ হচ্ছে অতিবৃষ্টির কারণে এবারে গরু মহিষ পালন কারীরা ইরি-বোরো মৌসুমের খড় শুকাতে পারেন নাই, আগাম বন্যার কারণে অনেকের লাগানো ঘাস ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু মাত্র খড়ের উপর নির্ভরশীল না হয়ে  যত দ্রুত সম্ভব খামিদেরকে বিভিন্ন আধুনিক জাতের ঘাস চাষ করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কচুরিপানা মৌসুমি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কচুরিপানা গরু মহিষকে খাওয়ানোর পূর্বে একটু শুকিয়ে নিয়ে খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

৯০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares