শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষের উদ্বোধন 

পটুয়াখালীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষের উদ্বোধন 

১০ Views
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কমছে কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন ও মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইরতিজা হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ খাইরুল ইসলাম মল্লিক। এসময় জেলা  অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এইচএম শামিম, পটুয়াখালী সদর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মিলন ও দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেনসহ শতাধিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।  এতে স্বগত বক্তব্য রাখেন-দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাফর আহম্মেদ।
উপজেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে সমালয় পদ্ধতিতে বাঁশবাড়িয়া ব্লকে ৮০জন কৃষক ৫০ একর জমিতে মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধান সমলয় চাষাবাদ এর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা ধানের আবাদ হচ্ছে। রোপন পদ্ধতি দেখে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরন সমালয় পদ্ধতিতে রোবো ধানের চারা রোপন করা হয়। সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৯২ জাত ব্যবহার, ট্রেতেবীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপন, চারা রোপনে রাইজ ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান এই সমলয় চাষাবাদে সম্ভব হবে। ২২-২৪ দিনের চারাগুলো রাইজ ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে রোপন করা হয়। রোপনের সময় এলাকার কৃষকদের মাঝে কৌতুহল দেখা যায়। বাঁশবাড়িয়া ব্লকের একাধিক কৃষক জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৮০ জন কৃষক সংঘবদ্ধ হয়ে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান আবাদের প্রশিক্ষন গ্রহন করি। প্রযুক্তির মাধ্যমে আবাদ করা হচ্ছে বোরো ধান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ বলেন, সমঞ্চিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরন প্রকল্পের অধিনে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ৫০একর জমিতে ব্রিধান-৯২ রোপন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষনিক দেখা শোনা ও চাষিদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
Share This