স্বৈরাচার হাসিনা জিয়াউর রহমানের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা জিয়াউর রহমানের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল এমনকি বাচ্চাদের পাঠ্যবই থেকেও মুছে ফেলেছিল। জিয়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করছে। তাকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবেনা। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে শুধু দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সম্পদ লুট করেছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর ভাসানী মিলনায়তনে সিরাজগঞ্জ জিয়া পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, অনেকেই বলেন, ৭মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। যদি তাই হয় তাহলে তো তখন থেকেই যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু তা হয়নি। বরং ৭ মার্চের পর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনা করছিলেন। টুকু বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাঙ্গালির ওপরে ঝাপিয়ে পড়ল তখনও ৫ আগষ্টের মতো আওয়ামীলীগ পালিয়েছিল। তখন বাঙ্গালী যখন যা পাড়ছে তাই নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তখন একটা কথা ভেঁসে আসলো, আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। তখন মানুষ বুঝলো আমরা একা না, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সাথে আছে। সে সময়ে জিয়াউর রহমান ক্যাম্পে বসে যুদ্ধের পরিকল্পনাও করতেন, যুদ্ধেও যেতেন। তখন থেকেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের আস্থার নাম হয়ে ওঠে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে প্রথম গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলেন। একদলীয় থেকে বহুদলীয় রাজনীতি শুরু করলেন। আপনারা ১৬ বছর জিয়াউর রহমানের নাম শোনেননি। শোনেন কেন আমরা জিয়াউর রহমানের দল করি। জিয়াউর রহমান ৭১-ও ৭৫ এ দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে বাংলাদেশী হিসেবে বিশে^ পরিচিত করিয়েছে। এই বাংলাদেশে যা অর্জন আছে তা সবই বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, একটা কথা আছে, পাপ বাপকেও ছাড়েনা। হাসিনা তো পালিয়েই গেছে এখন তার যে ভাগ্নি ছিল বিদেশের মন্ত্রী, তাকেও মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, এখন হয়তো তাকে জেলেও যাওয়া লাগতে পারে। ইকবাল হাসান টুকু বলেন, আমিতো মনে করি আমি সিরাজগঞ্জবাসীর গোলাম। আমি আপনাদের সেবা করে যেতে চাই। জিয়া পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ কুদরত-ইএলাহীর সঞ্চালনায় ও সভাপতি অধ্যাপক আবু হাসিম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসনাত আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু এবং জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আলোচনা সভা শেষে শিশুদের মাঝে জিয়াউর রহমানের উপর রচনা,চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার জন্য পুরষ্কার বিতরণ করা হয় ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সঙ্গিত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।##