রাজশাহীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত, গ্রেপ্তার-২
কাজী এনায়েত উল্লাহ, রাজশাহী অফিস:
রাজশাহীর বাগমারায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বাঁকীদের সাধারন চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলার ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) নামের এক আ’লীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা আহতদের পরিবার থেকে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্প্রতিবার (২ জানুয়ারী) বিকেল ৫ টায় উপজেলার মধ্যে। ওই ঘটনার পর থেকেই দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বিলমাললী বিলে মাছ চাষ শুরু করে এলাকার লোকজন। মাছ চাষে আ’লীগ ছাড়াও অন্যান্য দলের লোকজন অংশ গ্রহন করে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই এলাকার গুটি কয়েক লোকজন বিলটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। ওই গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা হাবিবুর রহমানের হস্তক্ষেপে বিলটি দখলে নিতে পারেনি। মাছ চাষের সময় আ’লীগ নেতা আল মামুন ও মাহাবুবুর রহমান বাবু দায়ীত্ব পালন করেছিলেন। হিসাবরক্ষকের দায়ীত্ব পালন করেছিলেন অছিমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।
মাছ ধরা হলে বিল চাষীদের সাথে স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ওই দ্বন্দ্বের জেরে ইউনিয়ন ছাত্রলীরে সাবেক সাধারন সম্পাদক সোহেল শেখ ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। বৃহস্প্রতিবার বিকেলে ওই অভিযোগ শুনানী ও মিমাংসার দিন ধায্যছিল। ওই মিমাংসার স্থলেই ছাত্রলীগ নেতা সোহেল শেখের পক্ষ নিয়ে বিএনপি’র লোকজনের উপর হামলা চালায়। ওই সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম (২৮), বিএনপি’র কর্মী ফরহাদ হোসেন (৩০), আইনুল হক (৩৫), আসিক মাহমুদ, আ’লীগ কর্মী আয়ুব আলী (৩৮)। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আ’লীক কর্মী ও ছাত্রলীগের সোহেল শেখের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে।
গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে আ’লীগের লোকজন বিএনপি’র কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন। এছাড়াও তারা বিলের দখল নিয়ে অন্যান্য অংশিদারদের ছাটাই করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। গোপনে গোপনে বিএনপি’র একটি গ্রুপ আ’লীগের লোকজনকে ইন্দন দিয়ে এই ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিল বিষয়ে অভিযোকারীর অভিযোগ সঠিক ছিল না। বাহিরে কি হয়েছে সেটা তিনি দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বাগমারা থানার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।