বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায়-৩ আসনের সাবেক এমপি শাওনের ছেলে রাইয়ানের নামে তজুমদ্দিনের চর আওয়ামী নেতাদের দখলে

ভোলায়-৩ আসনের সাবেক এমপি শাওনের ছেলে রাইয়ানের নামে তজুমদ্দিনের চর আওয়ামী নেতাদের দখলে

৩৮ Views

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বড় মলংচড়া ইউনিয়নের মেঘনায় জেগে ওঠা নতুন একটি চর ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরন্নবী চৌধুরী শাওনের ছেলে রাইয়ান চৌধুরীর নামে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। ওই চরের মালিকানা ১৬ হাজার একর জমি তিনি দখলে নিয়েছেন বলে জমির মালিক ও কৃষকরা জানান। ওই কয়েক হাজার কোটি টাকার কৃষি ও বাড়ি-ভিটার জমি আওয়ামীলীগের নেতাদের দখলে রয়েছে।
জমির মালিকেরা জানান, ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ড ইতোপূর্বে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর চরজহিরউদ্দিনের সিডার চর নিয়ে ওয়ার্ডগুলো পুর্নবিন্যাস করা হয়। পরে সেখানে নদীভাঙ্গন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে আবারও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সিডার চর অংশের জনবসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে মেঘনার মলংচড়া অংশে বড় আকারের জেগে ওঠা চরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন না করে সাবেক এমপি নিজের ছেলের নামে রেখে দখলে নিয়ে তার লোকজন দিয়ে রক্ষনাবেক্ষন করছে।
এই চরটিকেই স্থানীয় একটি মহল রাইয়ান চৌধুরী বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে চরে এ বিষয়ে একটি ব্যানারও লাগানো হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সহযোগিতায় বড় মলংচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নুরুন্নবী শিকদার বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেনের দখলে রয়েছে এই বিশাল চরটি। তারা কুষকের কাছ থেকে ইতিমধ্যে কোটি টাকার অধিক চাদা আদায় করে ধান রোপন করতে দিয়েছেন। বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও চেয়ারম্যান নুরুন্নবী শিকদার বাবুলের ভাতিজা তন্ময় তার চাচার পক্ষ হয়ে চরটি তিনি দেখাশুনা করেন বলে বিএনপির একাধিক নো-কর্মী অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তন্ময় কোন মন্তব্য করেননি।
বড় মলংচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুন্নবী শিকদার বাবুল জানান, মেঘনার মলংচড়া অংশে বড় আকারে একটি নতুন চর জেগে উঠেছে। ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চর রাইয়ান চৌধুরী নামে নেয়া হয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিসসহ সং¤িøষ্ট দফতরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমা দেওয়া হয়েছে। এখন আমন ধানের মৌসুম, কিছুদিন পরেই ধান সোনালী আকার ধারন করে পাকা শুরু করবে। কিন্তু দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কৃষকের চোখের ঘুম হারিয়ে যাচ্ছে। পাকা ধান কাটতে প্রতি একরে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে চাদা গুনতে হবে বলে শত শত কৃষকেরা অভিযোগ করেন।
জসিম, হারেছ, নাইমসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সাবেক এমপি রাজনৈতিক উচ্ছিষ্টভোগী চাটুকাররা এভাবে চাটুকারিতা করে অবৈধ ভাবে জনগনের সম্পদ দখল করে নেন। তজুমদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ জানান ভিন্ন কথা,তিনি বলেন, মেঘনায় জেগে ওঠা চরের ডিয়ারা জরিপের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চরের ম্যাপ হওয়ার পর জেলা কালেক্টরেট চরের নামকরণ করবেন। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একটি মহল চাটুকারিতা করছে।

Share This