ভোলায় দৌরাত্ম বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের মাদক চুরি ইভটিজিং সহ নানান অপকর্মের অভিযোগ
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার উপকন্ঠ চরনোয়াবাদে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম। মাদক বিক্রি ও সেবন,জুঁয়া, রাঁত হলে চুরি ও মাদক সেবন করে যুবতী মেয়েদের ঘরে হামলা, স্কুল পড়–য়া মেয়েদের ইভটিজিং এখন নিত্য নৈমেত্বের ব্যাপার। কেউ প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হচ্ছেন এমনও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চরনোয়াবাদ ৯নং ওয়ার্ডে ঘটছে। এই এলাকাটির চারদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রীত থাকার পরেও এই ধরনের অপরাধীদের পদচারনায় জনমনে নানান প্রশ্ন।
অভিযোগে জানাযায়,দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই এলাকাটিতে মাদক ব্যাবসায়িদের পদচারনা চলে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলের ছত্র-ছায়ায় এলাকাটিতে এই চক্রটি তৎপরতা ছিল। স্বৈরাচারের পতনের পরেও তারা বিএনপির কাঁধে ভর করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদেরকে টেনে ধরে রাখা বড় দায় হয়ে পরেছে।
তারই দ্বারাবাহিকতায় গত ২৪ আগষ্ট রাঁত ৩টার সময় এক গৃহবধুর ঘরে মদ্যপ অবস্থায় ঠুকে তার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে টানা হেচরা করলে ভুক্তভোগীদের ডাক চিৎকারে তারা পালিয়ে যায়। ২৫ আগষ্ট রাঁত ৮টার সময় এক গৃহবধুকে দোকানের সামনে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধু ভোলা সদর থানায় অভিযোগ করলে চক্রটি ওই পরিবারটিকে হুমকী ধামকি দিয়ে এক ঘরে করে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর দাবি, তাদের চারপাশে এত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অফিস থাকা সত্বেওতারা কিশোর গ্যাংদের কারনে অতিষ্ট হয়ে পড়ছি। দিনের বেলায় মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারছেননা। রাঁতের বেলায় মাদকও জুঁয়ারিদের কারেন ঘর থেকে বের হতে পারিনা। আর যদি এদের বিরুদ্ধে কোন উচ্চবাচ্য করি তাহলে ইজ্জত নিয়ে ঘরে ফিরা মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রশাসন যদি এখনো এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নেন তাহলে আমরা কোথায় যাব তা প্রশাসন ঠিক করে দিক। এই বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃমিজানুর রহমান পাটাওয়ারী বলেন, এরকম একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি, ভোলায় এই ধরনের অপরাধীদের কোন জায়গা হবেনা। আমরা অচিরেই এই গ্যাং ও তার সহায়তা কারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করে এদের প্রতিহত করবো।