বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

Views

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :; নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়েত ইসলামী । শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বসুরহাট জিরো পয়েন্টে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নোয়াখালী-৫ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ইয়াছিন আরাফাত।
সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা নির্মম ভাবে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যা হয়। এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এখন প্রতিহত করতে হবে। এ সময় বক্তারা সাত নেতাকর্মি হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সাত শহীদকে স্বরণ করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুপ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ইসমাইল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জহির উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ প্রম‚খ।
উলে­খ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

Share This

COMMENTS