শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার ছেলে ইউছুফকে বাঁচাতে চান মা ঝন্না

ভোলার ছেলে ইউছুফকে বাঁচাতে চান মা ঝন্না

১২৮ Views

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার কালি বাড়ি রোর্ডের আলগী গ্রামের ইউছুফ নামের শিশু ছেলেটি পড়া-লেখা, খেলা-ধুলা, ছোটা-ছুটি আর হই-হুল্লোড়ে চারদিক মাতিয়ে রাখতেন। পরিবার ও প্রতিবেশীদের সাথে তার সখ্য ছিল একটু বেশী। হঠাৎ একদিন শিশু ইউছুফ (৯) নিউরোলজি রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেন। ১৪ বছর চিকিৎসা করিয়ে-টাকা, সহায় সম্পদ হারিয়ে মা আজ অসহায়। ১৪ বছর আগের শিশুটি আজ ২৩ বছরের যুবক, সেই যুবক ইউছুফকে বাঁচাতে চান তার মা জীবন নেসা ঝন্না। সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য পেলে তিনি তার ছেলেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাবেন। অন্য যুবকদের মত আজ লেখা পড়া শেষে কাজ কর্ম করে স্বাভাবিক ভা‌বে সুস্থ্য জীবন যাপন করার কথা থাক‌লেও নিউরোলজি রোগের কারণে দিন দিন সে ধাবিত হচ্ছে মৃত্যুর দিকে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাবে ঝন্না সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মা ঝন্না জানায়, আমার ২ ছেলে ইউছুফ বড় আর রনি ছোট। ২০১০ সালে ইউছুফের বয়স ৯ বছর, সে ৫ম শ্রেনীতে পড়ত। বাবা আছাদুল হক মাইনুদ্দিন দির্ঘদিন অসুস্থ্য, কোন কাজ কর্ম করতে পারেনা। হঠাৎ ইউছুফ আবোল তাবোল বলতে থাকে, মানুষ দেখলে তাদের উপর ক্ষেপে গিয়ে হামলা করতে চায়, পরে সে অসুস্থ্য হয়ে পরে। এই অবস্থায় প্রথমে ভোলাতে ডাক্তার দেখাই। তার পরামর্শে-ঢাক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিউরোলজি বিভাগের ডাঃ এম বাহাদুর আলী মিয়াকে দেখাই। তার চিকিৎসায় ৫ বছর রাখি, সেখানে কোন ফল না পেয়ে-জাতীয় মানুষিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ডাক্তার সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জিল্লুর রহমান খান (রতন) কে দেখাই। তিনিও ৫ বছর চিকিৎসা করেন। ডাক্তারের ফি, টেষ্ট খরচ, ঔষধ আর ঢাকায় থেকে ছেলের চিকিৎসার পিছনে প্রায় কোটি টাকা ক্যাশ শেষ করে ফেলেছি। সেখানেও কোন ফল না পেয়ে-বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ মোঃ রাশেদুল ইসলামকে দেখাই। তিনি সব পরিক্ষা করে চিকিৎসা করতে থাকেন। এর মধ্যে সব টাকা শেষ করে,২০ শতাংশ জমিও বিক্রি করে খরচ চালাতে থাকি। ২ বছর পরে ডাক্তার সাহেব বলেন-ইউছুফের চিকিৎসা আর বাংলাদেশে হবেনা। তাকে ভারতে একজন ডাক্তার আছে তার কাছে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা করাতে ২৫ লাখ টাকার মত লাগবে। একথা শুনে ঝন্নার মাথায় পৃথিবী ভেঙ্গে পরে।
ঝন্না আরো জানান, ডাক্তাদের পরামর্শে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে জমি বিক্রির টাকাও শেষ, এখন ঘরসহ ভিটাটা বিক্রি করলে ৩-৪ লক্ষ টাকা হবে। আতœীয় স্বজনে মিলে আরো ২-৩ লাখ টাকা দিতে পারবে। বাকী টাকা কোথায় পাবো। এ বলেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। কি হবে ছেলের? কি ভাবে হবে চিকিৎসা ? এত টাকা মিলবে কোথা থেকে ? তাহলে কি আমার ইউছুফের চিকিৎসা হবে না ? আমি কি বাঁচাতে পারবো না আমার বাবাটাকে ? তিনি তার ছেলেটা বাচানোর জন্য দেশের এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করছেন। তিনি তার ছেলেটার চিকিৎসার জন্য তাড়া তাড়ি ভারতে নিয়ে যেতে চান। খরচের টাকা জোগাড় হলে তাকে ভারতে নিবেন।
কান্নায় ভেঙ্গে পরেন ছোট ভাই রনিও। আমার ভাইটাকে বাঁচাতে চাই। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। সমাজের বিত্তবানরা পারেন আমার ভাইটির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার জীবন রক্ষা করতে।
ইউছুফের মায়ের পার্সনাল বিকাশ (০১৬১৯৯৫১৪৪১) নম্বরে যুবকটির জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো যাবে।

Share This