লালমনিরহাট সেনমৈত্রী বাজারে মাদক ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট বিক্রীর দায়ে দুইজনের জেল
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শাফায়াত আখতার নূর ও মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই দুজনের সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিকাশ ফার্মেসীর মালিক প্রদীপ চন্দ্র রায় খোর্দ্দ সাপ্টানা এলাকার মৃত হরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে ও সেবনকারী জাহিদুল ইসলাম হাড়ীভাঙ্গা এলাকার মোঃ জয়নালের ছেলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের সহকারী পরিচালক নাজির উল্লাহ জানান, জেলা শহরের সেনা মৈত্রী বাজারে বিকাশ ফার্মেসীর মালিক প্রদীপ চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য টাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে। এমন একটি অভিযোগ আমাদের অধিদপ্তরে আসলে আমরা সেখানে সোর্স নিয়োগ করি। সেই সোর্সের তথ্য মতে আজ সোমবার বিকেলে তার নেতৃত্বে এসআই আল আমিন হোসেন, এএসআই টিএম নাসির উদ্দিন, সিপাহী সেলিম ও সাহিদসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম সেই ফার্মেসীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ফার্মেসীতে নিষিদ্ধ মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট কিনতে আসা জাহিদুল ইসলাম নামে এক মাদক সেবনকারীকে এক পিচ টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকাশ ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে আরো ৪পিচ ট্যাবলেট উদ্ধার এবং ফার্মেসী মালিক প্রদীপ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী দুইজনকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতে তারা দুজন তাদের দোষ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শাফায়াত আখতার নূর ও মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ফার্মেসী মালিক প্রদীপ চন্দ্র রায়কে ১লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সেবনকারী জাহিদুল ইসলামকে ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
রায় ঘোষনার পর সন্ধ্যার দিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাদক ব্যবসায়ী ফার্মেসী মালিক প্রদীপ চন্দ্র রায় ও সেবনকারী জাহিদুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।