বুধবার- ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গে জ্বালানি তেল পেট্রোল ও  অকটেনের  সংকট 

সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গে জ্বালানি তেল পেট্রোল ও  অকটেনের  সংকট 

এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ: কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের রাজশাহী বিভাগের সবকটি জেলা ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় জ্বালানি তেলের বিশেষ করে পেট্রোল ও অকটেন এর সংকট দেখা দিয়েছে। তবে  ঈদের দীর্ঘ ছুটিকেই কারন হিসেবে বলছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী ঘাট এর ডিপো ইনচার্জ।
সিরাজগঞ্জ শহরসহ জেলার বেশ কয়েকটি  ফিলিং স্টেশনে খোজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের ছুটির কারনে কয়েকদিন ধরে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন এর সংকট দেখা দিয়েছ।  তেল পাম্পগুলোতে তেল নিতে আসা অনেক প্রাইভেট কার ও মোটরবাইক চালককে তেল না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়।
জানা যায়, উত্তরবঙ্গ  জেলা গুলোতে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল মিলিয়ে প্রতিদিন ৩০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এবং শুধু পেট্রোল ও অকটেনের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬-৮ লাখ লিটার। এ চাহিদা পূরণে  সক্ষম বাঘাবাড়ী ঘাট তেল ডিপোগুলো।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউশন এজেন্ট এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন এর রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন,  ঈদে মানুষ অতিরিক্ত তেল তোলায় পাম্পের স্বাভাবিক এর চেয়ে চাহিদা বেড়েছে। এর কারনে হয়তো কিছুটা   সংকট দেখা দিয়েছে। কারন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন্ ঈদে বাইরে থেকে প্রচুর গাড়ি ঢুকেছে যারা প্রচুর পরিমানে তেল তুলেছেন। পাশাপাশি অনেকেই কারন ছাড়াই অতিরিক্ত তেল নিয়েছেন যার কারনে চাহিদা বেড়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুতেই এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।  উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি শাহজাহান সিরাজ  বলেন, আমার জানা মতে ডিপোতে তেল সংকট রয়েছে। এ কারনে আমাদের সব ট্যাংকলরি গুলোও চলছে না। তবে যেহেতু আমরা মালিকের গাড়ি চালাই তাই তাদের যদি তেল পারাপার বা আনা নেওয়া না থাকে তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই।
বাঘাবাড়ী ডিপো ইনচার্জ (যমুনা) আবুল ফজল মো. সাদেকিন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল আমাদের রয়েছে।  তবে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে এটা আসলে মূলত  ঈদের দীর্ঘ ছুটি থাকার কারনে সাময়িক সংকট। তাছাড়া তেলের কোনো সংকট নেই। তবে বর্তমান মজুদ কতটুকু রয়েছে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
তিনি আরো  বলেন, এর বড় একটি কারন হলো ব্যাংকিং সমস্যা। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ডিলাররা ঠিকমতো ব্যাংকিং করতে পারেননি। এছাড়াও বেশিরভাগ স্টাফ ও শ্রমিকেরা ছুটিতে ছিলেন। এমনকি তেলবাহী জাহাজ গুলো নির্ধারিত সময়ে ঘাটে না আসাও এর একটি কারন। তবে যে তেলবাহী জাহাজ গুলো এখন বাঘাবাড়ী ডিপোর পথে আছে সেগুলো চলে আসলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।
এই সংকট পুরোপুরি কাটতে কতোটা সময় লাগবে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, আমরা আশা করছি আগামী দুই একদিনের  মধ্যে সবগুলো জাহাজ ডিপোর ঘাটে এসে পৌঁছে যাবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম ও শুরু হয়ে যাবে। এতে আশা করা যায় রোববার থেকেই এই সংকট পুরোটা কেটে যাবে।
২৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS