
নৈতিক স্খলনের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হলেও তাকে পূনঃ বহাল করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শা উপজেলার নটাদিঘা ডুবপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম কে নৈতিক স্খলনের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হলেও তাকে পূনঃ বহাল করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। অভিযোগে প্রকাশ বিগত নভেম্বর ২০২৪ সালে উক্ত বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণরি ছাত্রীদের কে বিতর্কিত শিক্ষক আনারুল ইসলাম মোবাইলে অশ্লিল ভিডিও প্রদর্শন করা, ছাত্রীদের গায়ের উপর ঢলে পড়া বা হেলান দিয়ে দাড়ান, কু-প্রস্তাব দেওয়া এবং ছাত্রীদের নিকট টাকা ধার চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিভাবক ও ছাত্রীরা উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নাজিব হাসান, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাষক এস এম শাখির উদ্দীন কে ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। একই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অলিয়ার রহমান ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ ঘটনাটি তদন্ত করেন এবং অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা প্রমাণিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নাজিব হাসান ঘটনা সর্ম্পকে এক স্বাক্ষাতকারে জানান বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাষকের মাধ্যমে ঘটনা তদন্ত করা হয় এবং ঘটনার বিষয়টি সত্যতা প্রমাণিত হলে তাৎক্ষনিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদন প্রেরণ করা হলে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সহ প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামকে ২০১৮ বিধি ৩৯ এর (১) ধারা মতে গত ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা এ ধরনের জঘন্যতম অপরাধ প্রমাণিত হলেও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে অপরাধিকে অপরাধের শাস্তি না দিয়ে তাকে পূনঃ স্ব-পদে বহাল করেন। এছাড়া ঐ দুশ্চরিত্রহিন শিক্ষক যে সকল বিদ্যালয়ে চাকুরী করেছে প্রতিটি স্কুলে একই ধরনের অপরাধ করার যথেষ্ট প্রমান ও আছে। অথচ তাকে অপরাধের শাস্তি না দিয়ে তাকে স্ব-পদে বহাল করায় অপরাধীকে অপরাধ করার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ঐ শিক্ষককে উৎশাহিত করলেন। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তার মুঠোফোনে এক স্বাক্ষাৎকারে জানান অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বেতন স্কেলের একটি ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করে গত ১২ ফেব্র“য়ারী ২০২৫ শাস্তিমুলক বদলী করা হয়েছে বসতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।