শনিবার, ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীতে স্বৈরাচারের দোসর সোর্স ও প্রতারক মাওলানা নুরুল ইসলাম আছে বেশ আয়েশে

বাঁশখালীতে স্বৈরাচারের দোসর সোর্স ও প্রতারক মাওলানা নুরুল ইসলাম আছে বেশ আয়েশে

২৮ Views
এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ  চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের স্বৈরাচারের দোসর বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত তথাকথিত এক মৌলানা ৫ আগস্ট’২৪ এর গন অভ্যুত্থানের পর পতীত আওয়ামীলীগ সরকার ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মি পালিয়ে বেড়ালেও এখনো স্বৈরাচারের পক্ষে গোয়েন্দাগিরী করার জগন্যতম অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মৌলানা উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব জালিয়াঘাটা গ্রামের জইল্লার বাড়ি মোঃ উলা মিয়ার ছেলে মাওঃ নুরুল ইসলাম জিহাদী।
মাওঃ নুরুল ইসলাম জিহাদী স্বৈরাচার আমলে বাঁশখালী ওলামা লীগের সহ সভাপতি। সে বাঁশখালীর সাবেক সাংসদ পলাতক মোস্তাফিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ওলামা লীগে নেতা, সরল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহামদ পরিচালিত জালিয়াঘাটা ছোবহানিয়া মাদ্রাসার পরিচালক এবং মসজিদের ইমাম। সে মাদ্রাসা মসজিদে থেকেও বিভিন্ন ভুক্তভোগী অসহায় সুন্দরী নারীদের ফাঁদে ফেলে তাবিজ আর পানি পড়া দেওয়ার অজুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অনৈতিক অপরাধেও জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। স্বৈরাচার আমলে সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজ, চেয়ারম্যান রশিদ, আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ সহ বিভিন্ন নেতাদের সাথে থেকে নানান রকম অপতৎপরতায় জড়িত থাকার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন স্বৈরাচারী সরকারের হয়ে বিভিন্ন প্রতিরোধ তৎপরতায় জড়িত থাকার প্রমান আছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর মাও নুরুল ইসলাম মসজিদ মাদ্রাসায় থেকে ছদ্মবেশে স্বৈরাচারের দোসরদের পক্ষে গোয়েন্দাগীরি করার স্পষ্ঠ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালীর ছাত্রসমাজ সহ সর্বমহলে বেশ ক্ষোভের সঞ্চার পরিলক্ষিত হচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী হচ্ছে, অবিলম্বে এই প্রতারক মৌলানাকে গ্রেফতার করে জবাবদিহির মুখোমুখি করা হলে স্বৈরাচারের লুকিয়ে থাকা দোসরদের তথ্য পাওয়া যাবে।
Share This