শুক্রবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বীরগঞ্জে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের বাজিমাত

বীরগঞ্জে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের বাজিমাত

২০ Views
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন। রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্যে সাড়া মিলছে বাজারে, দাম পাচ্ছে কৃষক। এমন চাহিদায় খুশি কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দামাইক্ষেত্র গ্রামের সবজি চাষি কুশল চন্দ্র রায় ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করা হয়। তিনি বলেন, সাদা কপি ৫ টাকায় বিক্রি হলেও এ কপি এখনো ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পিস। ইতোমধ্যেই ৭ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন কুশল। তিনি আশা করছেন, বাকি ফসল থেকে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাষ করা হলুদ, গোলাপি ও হালকা লাল রঙের বাহারি ফুলকপি এখন শোভা পাচ্ছে জমিতে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন। চারা ছাড়াও ফুলকপি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব সার, কীটনাশক ও পরামর্শ দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
কুশল চন্দ্র রায়ের মতো ভোগনগর ও সাতোর ইউনিয়নের আরও ৪ জন রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাফুলকপি চাষিদের এনে দিয়েছে সাফল্যের স্বাদ।
বীরগঞ্জ পৌর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. মোজাম্মেল জানান, এ কপির পুষ্টি এবং গুনাগুন অনেক ভালো। রঙিন ফুলকপি বাজারে আসা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকরা যদি এই চাষ আরও বাড়ান, তবে এটি হয়ে উঠবে অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল।
স্থানীয় ক্রেতা আশারুল বলেন, ক্ষেত থেকে ২০ টাকা দরে রঙিন ফুলকপি কিনেছেন তিনি। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, খেতেও তেমনি সুস্বাদু।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, পরীক্ষামূলক এই চাষে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন ও বাজারমূল্য পেয়েছেন। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ সাদা ফুলকপির তুলনায় অনেক বেশি এবং এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তিনি আরও জানান, এ বছর উপজেলায় ৭০২ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে এবং এর মধ্যে এক একর জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাজারে এর উচ্চ চাহিদা থাকায় আগামী বছর আরও বেশি কৃষক এই চাষে যুক্ত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
Share This

COMMENTS