
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি খুটির জোর কোথায়?

একরামুল হক বেলাল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : দেশের উত্তর অঞ্চলরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এমডি মোঃ সাইফুল ইসলাম এর খুটির জোর কোথায়? অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত হওয়ার পরেও স্বপদে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের ০৬ মাস হলেও আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী হয়ে পদউন্নতি পাওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এমডি মোঃ সাইফুল ইসলাম এখন বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন কয়লা খনিতে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ হলেও প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামীলীগের দোসরা পালিয়ে গেলেও দূর্নীতি ও অনিয়মের হোতা এই এমডি এখনও কয়লা খনির সর্বচ্চো পদে বহাল রয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কিছু কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় আর্শীবাদ পুষ্ট হয়ে কয়লা খনিতে অনিয়মের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গত ২০২২ইং সালে এমডি হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি এমডি হওয়ার কয়লা খনির ১ হাজার ১শত কোটি টাকারও বেশি স্থায়ীন আমানত এফডিআর তার এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও প্রাইভেট ব্যাংকে রেখেছেন। বে সরকারী বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন ব্যাংকে এ সব এফডিআর খোলা এবং নবায়ন করার ক্ষেত্রে তিনি একটি নিদিষ্ট্য হারে সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বে সরকারি ব্যাংক গুলো তারল্য সংকোটের কারণে কয়লাখনির কয়েকশত কোটির টাকার আমানত এখন ঝুকির মুখে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খনির একজন কর্মকর্তা জানান ২০২৩ইং সালে বিদেশ সফরের নামে খনির অর্থের অপচয়, এজিএম অনুষ্ঠানে ব্যয়ে অননিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে। আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে ১৮-২০ জন জনবল নিয়োগ দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পূর্ণবাসন ও তাদের নেতা কর্মীদের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহন ছাড়াও তিনি ৩শত দিন অফিসের কাজের জন্য ঢাকায় অবস্থান দেখিয়ে টিএ ডিএ বাবদ কোম্পানি থেকে ৪০লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানান, এমডি সাইফুল ইসলাম কয়লাখনি এলাকার জন্য গঠিত সিএসআর ফান্ডের টাকা তিনি ২০২৩ইং সালে আওয়ামীলীগ নেতা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রদান করে তছরূপ করেছেন। এমনকি সিএসআর ফান্ডের টাকা এলাকায় না দিয়ে অন্যান্য জায়গায় প্রদান করেন। সোনালী ব্যাংক পিএলসি বড়পুকুরিয়া প্রকল্প শাখায় ২০১১ইং সালে খোলা এমডির ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাব নম্বরে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংক হিসাব বিবরণীতে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর ২০২৩ইং পর্যন্ত ব্যাংক হিসাব বিবরণীতে এই অনিয়ম দেখা দেখা যায়। কিছু মাসে তার হিসাব নম্বরে কোটি টাকার উপরে জমা পড়েছে। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ ঐ সময় দেশের একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার বিরুদ্ধে পেট্রোবাংলা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু সেই কমিটির রিপোট এখনও আলোর মুখ দেখেনি। কমিটি ঐ রিপোর্ট কবে প্রকাশ করবে তা এখনও কেউ জানে না বা অদোউ কোন দিন করবে কিনা তাও কেউ জানে না। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর এমডি সাইফুল ইসলাম বগুড়ার বাসিন্দা হওয়ায় মত পরিবর্তন করে বিএনপির লোক পরিচয় দিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সর্বচ্চো পদে এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছেন। লোহা, তামা ও অন্যান্য মালামাল বিক্রির টেন্ডারের অনিয়ম করে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান মোঃ রেজানুর রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন গ্রহণ করেন নি।
অপর দিতে পেট্রোবাংলা উপ-মহা ব্যবস্থাপক (উৎপাদন ও বিপণন) ডা. মোঃ বেলায়েত হোসেন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে কার্যক্রম শেষ হলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে দূর্নীতি দমন কমিশন এ বিষয়ে কি করবে তা তাদের ব্যাপার।
এলাকার সচেতন মহল তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত সহ তাকে দ্রæত অপসরন করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর দোসরদের হাত থেকে দেশ ও দেশের সম্পদ সহ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিটিকে রক্ষা করার জন তত্ববাধায়ক সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।