সোমবার, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দির্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে নাগরিক সেবা কার্যক্রম চালু\ ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

দির্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে নাগরিক সেবা কার্যক্রম চালু\ ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

৪৫ Views

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: অবশেষে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ। আর এর মধ্যদিয়েই দীর্ঘ দিনের সেবাবঞ্চিত ইউনিয়নবাসী ফিরে পেয়েছে তাদের কাঙ্খিত সেবা কার্যক্রম। অথচ কয়েক কোটি টাকায় নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি উদ্বোধনের পর থেকে ব্যবহার না করায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় চুরি ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল নানা আসবাবপত্র। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে বরখাস্থ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে এখানকার চিত্র। জনসেবার জন্য ইউনিয়ন ভবনটি কার্যক্রম শুরু করায় ফিরে পেয়ে খুশী ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার পর থেকে উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ কখনোই পরিষদ ভবনে না গিয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদরের বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। রাতে বসবাস করতেন বগুড়া শহরের বাসায়। এ কারণে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট সহ যে কোন জরুরী কাজে সেবা নিতে যেতে হতো তা সোনাতলা বা বগুড়া শহরের বাসায়। আবার মাঝে মাঝেই সেখানে গিয়ে দেখা যেত তিনি ঢাকা গিয়েছেন অথবা দেশের অন্য কোথাও গিয়েছেন। এতে তার অপেক্ষায় বসে থাকতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা বা দিনের পর দিন। ইউনিয়নের নাগরিক সেবা প্রাপ্তির জন্য এ ধরনের বিড়ম্বনার যেন এখানকার জন্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে গিয়েছিল। তারা আরও জানান, চেয়ারমান আনিছ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক থাকায় অধিকাংশ সময়ই তার দেখা পাওয়া যেতো না। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূথ্থানের পর থেকে চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়ায় সেবা কার্যক্রম ব্যহত হয়। জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সনজীব হোসেনকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৩, ১০১ এবং ১০২ ধারা ২ নং স্মারক অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে সনজীব হোসেন ঝিমিয়ে পড়া ১৭ নং শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু কর্মমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেন।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা গাড়ামারা ঘুঘা গ্রামের রানা মিয়া বলেন, নাগরিত্ব সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য আগে নানা ভাবে যে হয়রানির শিকার হতে হতো তা এখন আর নেই। যে কোন কাজে এসে চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদেই যাওয়া যাচ্ছে। শাখাহাতি গ্রামের রিনা বেগম বলেন, নারী হয়েও এর আগে তাকে দুইবার সোনাতলা যেতে হয়েছিল। তিনি এখন ইউনিয়ন পরিষদেও সেবায় মুগ্ধ।
শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: সনজীব হোসেন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি তাদের সেবার। তাই সাধ্যমতো আন্তরিক ভাবে সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। আর যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপনে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য ইউনিয়নবাসীর সুবিধার্থে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করে তাদের নানা ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

Share This