শার্শা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নামে সংবাদ প্রকাশের পর দৌড়ঝাপ শুরু
শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ শার্শা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নামে তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশের পর দৌড়ঝাপ শুরু করেছে ঐ দূর্নীতিবাজ গুদাম কর্মকর্তা। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান এর বিরুদ্ধে দৈনিক গ্রামের কাগজ সহ একাধিক পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে শার্শার কৃষকদের কাছ থেকে ব্যোরো ধান সংগ্রহ না করে অন্য জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করে কৃষকদের নাম দিয়ে কৃষি ব্যাংক শার্শা শাখা থেকে একাধিক ট্রোজরি চালানের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা সংন্তান হিসেবে দাবী করে বলেন “পত্রিকায় আমার নামে লিখে কিছুই হবে নানে।” কারন আমার বাবা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে ছিলেন। অভিযোগে প্রকাশ ঐ গুদাম কর্মকর্তা ঠিকমত অফিসে আসেনা, জেলা অফিসে মিটিং এর কথা বলে প্রায়শই অনুপস্থিত থাকেন। অফিসের বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন গুদামের দারোয়ান জাইবুল কে। সকল অপকর্মের হোতা জাইবুল ও ইকবাল হোসেন এর মাধ্যমে অফিসের সকল প্রকার খাতাপত্র চালান রেজিষ্টার সহ সকল কাজ এর দায়িত্ব পালন করে থাকে। এছাড়া প্রত্যেকের নিকট থেকে উৎকোচ আদায়কারি জাইবুলের মাধ্যমে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারী গুদামে ১৮০০ আঠারোশত মেক্ট্রিক টন ব্যোরো ধান সংগ্রহ করে। তাও ধান সংগ্রহ না করে গুদাম কর্মকর্তা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য অন্য জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করে শার্শার সহজ-সরল চাষিদের নাম ব্যবহার করে চাষিদের স্বাক্ষর জাল করে প্রতিটি বিলের বিপরিতে শার্শা কৃষি ব্যাংক থেকে বিল উত্তোলন করে নিজেই আখের গুছিয়েছেন। এ কাজের প্রতক্ষ্য ও পরক্ষ সহযোগিতা করেছেন দারোয়ান যাইবুল ও ইকবাল হোসেন। প্রতিটি ব্যোরো সংগ্রহের চালানের বিল প্রস্তুতকারি দারোয়ান যাইবুল ও ইকবাল হোসেন এর স্বাক্ষর রয়েছে। অত্রাঞ্চলের কৃষকদের দাবী দূর্নীতিবাজ গুদাম কর্মকর্তা শার্শার চাষিদের নিকট থেকে সরাসরি ব্যোরধান সংগ্রহ না করে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য অন্য জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করে চাষিদের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন গুদাম কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে এলাকার সুবর্ণখালি গ্রামের চাষি আবুজাফর, আঃ মালেক, ডিহি ইউনিয়নের শিববাস গ্রামের জসিম উদ্দীন, আব্দুল মমিন, স্বরুপদাহ গ্রামের শাহাদৎ হোসেন, কামাল উদ্দীন, তফেল ও মনিরুল, পান্তাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক, হবিবর রহমান, আজগার আলী, সাইদুজ্জামান, শার্শার মনির হোসেন, আওরঙ্গ, রফিকুল ও আব্দুর রব এর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কোন সময় সরকারী গুদামে ধান বিক্রয় করতে পারেনি। তাছাড়া আমাদের উৎপাদিত ধান বিক্রয় করতে গেলে গুদাম কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিতে হয়। আমরা দূর্নীতিবাজ গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবিলম্বের দুদুকের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এলাকাবাসির অভিযোগ প্রতিটি ভিজিডি, ভিজিএফ, টিসিবির প্রতিটি চালানে ৫০০ টাকা হারে গুদাম কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাওয়া চাকুরীর নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান এক স্বাক্ষাতকারে জানান এ ধরনের দূর্নীতি হলে অবশ্যই চাষিদের নামের তালিকা অনুযায়ী তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমানের অনিয়ম দূর্নীতি এবং শার্শার চাষিদের নিকট থেকে সরাসরি ব্যোরো ধান সংগ্রহ না করে অন্য জেলা থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিদের নাম ব্যবহার করে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলেন তাৎখনিক সংবাদ প্রকাশ করা উচিৎ ছিল। কৃষকদের অনিয়ম দূর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে সকলেই দূর্নীতির সাথে জড়িত। তাছাড়া গুদাম কর্মকর্তা ধান খরিদ করার দায়িত্ব, কৃষকের বিল পরিশোধ বিষয়টি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।