সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭৫৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি

৭৫৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি

৭৬ Views

২০০৭ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ বাতিল হওয়ার অভিযোগ তুলে ৭৫৭ জন উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও সার্জেন্টকে স্ব স্ব পদে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ জন এসআই ও সার্জেন্টের পক্ষে এ দাবি জানান এসএম সুজন চৌধুরী ও মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘২০০৭ সালে তৎকালীন আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও বেনজীর আহমেদ তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ অজুহাতে ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫৩৬ জন এসআই এবং ২২১ জন সার্জেন্টসহ মোট ৭৫৭ জনের চূড়ান্ত নিয়োগ বাতিল করেন, যা অত্যন্ত অমানবিক ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সব প্রার্থীরা পূর্বে কর্মরত বিভিন্ন চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি সারদা-রাজশাহীতে যোগদানের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু বিনা কারণে হঠাৎ করে আমাদের চাকরিতে যোগদান বাতিল করে দেন তৎকালীন পুলিশপ্রধান। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে পরবর্তীতে আমরা উচ্চ আদালতে রিট করেছিলাম। উচ্চ আদালতেও আমরা নিয়োগবঞ্চিত ৭৫৭ জন চাকরিপ্রার্থী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হই। চাকরি হারিয়ে আমাদের অনেকে বিকল্প কর্মসংস্থানে ঢুকলেও বেশিরভাগই মানবেতর জীবন-যাপন করছে।’

জিন্নাহ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমি বঞ্চিত সবার পক্ষে থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নিয়োগবঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি এবং মৌলিক ও মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাই।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া তুলে ধরে বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের জন্য ২০০৫ সালের ২০ ডিসেম্বর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০৬ সালের ১৭, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ২০০৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন একই বছরের ২২ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর সম্পন্ন হয়।

অপরদিকে ২০০৫ সালের ১৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের সার্জেন্ট পদে নিয়োগের জন্য ওই বছরের ২ জুলাই রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই বছরের ২৭, ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ২০০৬ সালের ২ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন হয়।

Share This