একযোগে দেশের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ
সারাদেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের মোট ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে একযোগে অপসারণ করেছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে পৃথক আদেশ জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯৩ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে তাদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সোমবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছে।
এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩(ঘ) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে মৃত্যুজনিত কারণে কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। অপসারণকৃত চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) এ সংক্রান্ত পৃথক আদেশ জারি করা হয়। মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ জন পৌর মেয়রকে অপসারণ করে রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত পৌরসভার মেয়রদের নিজ নিজ পদ হতে অপসারণ করা হলো। এদিকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলো হলো- ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। তাদের জায়গায় প্রশাসক বসানো হয়েছে। তারাই দায়িত্ব পালন ও দেখভাল করবেন সিটি করপোরেশনগুলোর। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এর আগে, গত শনিবার বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশনের আইন সংশোধনের আলাদা আলাদা অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।