জুলাই আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারতে সমস্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ
সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিবাহের প্রায় দীর্ঘ একমাস পরে দশমিনায় শশুর বাড়ীতে প্রথম পা রাখলেন। রোববার বেলা ১১টায় নিহত জিহাত মোল্লা ও বেলা সাড়ে ১২টায় জাকির হোসেন এবং দুপুর ১টায় বাবুল মৃধার কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন। তিনি শনিবার দিবাগত ভোররাতে দশমিনায় শশুরের বাসভবনে রাত্রি যাপন করেন।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত মাসের ১১ অক্টবর দশমিনা উপজেলার আলিপুর গ্রামের ব্রজবাশি রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহাবুদ্দিনের মেয়ে নুসরাত জাহানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হয়। বিবাহের প্রায় দীর্ঘ একমাস পরে দশমিনায় শশুর বাড়ীতে প্রথম বেরাতে আসে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এসময় জুলাই আন্দোলনে নিহত ঢাকা কবি নজরুল কলেজের ছাত্র জিহাদ মোল্লার কবর জিয়ারত শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, জুলাই গণ অভ্যথ্যানে নিহত ও আহতদের জন্য ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তবে আহতদের ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে সরকার স্কিল ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে ৯ লাখ মানুষের কর্ম সংস্থানের উদ্দ্যোগ নিয়েছেন সেখানে আহতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আহতদের পুনর্বাসনে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের এগিয়ে আসার আহŸান জানান। তিনি বলেন আহতদের চিকিৎসা পাওয়ার আন্দোলনটা আমাদের জন্য লজ্জার।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা শুনেছি আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগ,যুবলীগ বা যারা জুলাই অভ্যথ্যানে আহত হয়েছে তাদের অনেকেই আহত হিসেবে তালিকাভূক্তি করেছেন এবং তারা এক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এরকম হয়ে থাকলে আমি সরকারকে আহŸান জানাবো সেটাকে খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার, যাতে আহতদের রাস্তায় নেমে আসতে না হয়। বিএনপির দ্রæত নির্বাচন চাওয়ার ব্যাপারে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই অভ্যথ্যান শুধু মাত্র একটি ভোটের অধিকারের জন্য হয়নি বিগত ১৬ বছর বিএনপি সব থেকে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন এটা সত্যি, বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা সেগুলোর ব্যাপারে আমরা কিন্তু দেখেছি বিএনপিকে অনাস্থা প্রকাশ করতে। এখন নির্বাচন হচ্ছে সংস্কারের একটি প্রকৃয়া, যখন সংস্কারটি সম্পন্ন হবে তখন যে নির্বাচন হবে সেটা গণমানুষের নির্বাচন হিসেবে গ্রহনযোগ্য হবে। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামীলীগ জাতীয় পাটি এই ফ্যাসিজমকে ফ্যাসিলেটেড করেছেন তাদের বিচার প্রকৃয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে ছাত্র জনতা সিদ্ধান্ত নিবে তারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না। তবে বিচারের আগে তাদের নির্বাচনকে স্বাগত জানাবো না। প্রয়োজনে আমরা সেটাকে গনতান্ত্রিক ভাবে প্রতিহত করবো। হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, সরকারের ভাল কাজের ব্যাপারে আমরা সহযোগীতা করবো আর যেখানে ভূল করবে সেখানে সমালোচনা করবো। পরে হাসনাত আব্দুল্লাহ জুলাই আন্দোলনে নিহত নলখোলা এলাকার গার্মেসকর্মী জাকির হোসেন এবং বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রাজমিস্ত্রি বাবুল মৃধার কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।